ভারত

টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছাকাছি উদ্ধারকারী দল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫৬ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২৩

ধীরে ধীরে কমছে দূরত্ব। আর মাত্র ১২ মিটার খুঁড়লেই উদ্ধার করা যাবে ভারতের উত্তরাখণ্ডের টানেলে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিককে। বুধবার (২২ নভেম্বর) এমনটাই জানান উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

সেখানের কর্মকর্তাদের দাবি, শিগগির ‘বড় খবর’ আসছে। তারা জানিয়েছেন, টানেলে আটকে থাকা শ্রমিকদের বের করে আনতে ১২ মিটারেরও কম পাথর ও ধ্বংসাবশেষ সরানো বাকি।

আরও পড়ুন>টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের ছবি-ভিডিও প্রকাশ, চলছে উদ্ধার অভিযান

এর আগে উত্তরাখণ্ডের সড়ক ও পরিবহন বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মাহমুদ আহমেদ জানান, বুধবার দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ সুড়ঙ্গের মুখে আটকে থাকা পাথর খনন করতে শুরু করে খননযন্ত্র অগার। দুই ঘণ্টার মধ্যেই সেটি ১৮ মিটার খনন করে ফেলে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, আমি এটা জানাতে পেরে খুশি যে, ৩৯ মিটার পর্যন্ত পাথর খোঁড়া হয়েছে। আমাদের অনুমান, শ্রমিকরা ৫৭ মিটার নিচে আটকে রয়েছেন। অর্থাৎ, তাদের উদ্ধার করতে আর মাত্র ১৮ মিটার বাকি রয়েছে। আহমেদ আরও বলেন, যদি আর কোনো বাধা না আসে, তা হলে বুধবার রাতে বা বৃহস্পতিবার সকালে বড় খবর পাওয়া যেতে পারে। যদিও তার এ ঘোষণার পর আরও ছয় মিটার খনন করা হয়েছে।

আহমেদ আরও জানিয়েছেন, পাথরে গর্ত করার পাশাপাশি সেই গর্তে উদ্ধারকারীদের বের করে আনার জন্য ঢালাই করা পাইপ ঢোকানো হচ্ছে। আর সেই প্রক্রিয়ায়ই অনেকটা সময় লাগছে বলেও আহমদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঝালাই করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এতে সময় লাগে। খনন করতে খুব বেশি সময় লাগে না।

ভারী ড্রিলিং মেশিন বারবার বিকল হওয়ার কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা ধীর, জটিল হয়েছে। গত সপ্তাহে একটি মেশিন বোল্ডারের মধ্যে পড়েছিল, ফলে টানেলের ছাদ ফাটল ধরে বলে মনে হওয়ার পরে তিনদিনের বেশি সময় ধরে ড্রিলিং স্থগিত করা হয়েছিল।

গত ১২ নভেম্বর উত্তরকাশী জেলার ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের ওপর সিল্কিয়ারা ও ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে নির্মীয়মাণ সাড়ে আট মিটার উঁচু এবং প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের একাংশ ধসে পড়ে। টানেলের ভেতরে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। সেই ঘটনার পর ১১ দিন পেরিয়ে গেছে। এখনও উদ্ধার করা যায়নি শ্রমিকদের। টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের তিনজন।

টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের পাইপের সাহায্যে খাবার ও অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শ্রমিকদের জন্য খিচুড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রাতের খাবারে পাঠানো হয় পোলাও, মটর পনির এবং দুটি করে রুটি। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই খাবারের ধরনে বদল আনা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে পাইপের ভেতর দিয়ে প্রায় দেড়শটি খাবারের প্যাকেট শ্রমিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।