টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের ছবি-ভিডিও প্রকাশ, চলছে উদ্ধার অভিযান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০১ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২৩

ভারতের উত্তরাখন্ডের টানেলে আটকা পড়া শ্রমিকদের ছবি ও ভিডিও প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছে। এতে দেখা যায়, টানেলের ভেতরে একটি ছোট জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। তারা কী করছে, কীভাবে আছেন তা দেখা গেছে ওই ভিডিওতে। উদ্ধারকারী দলের ক্যামেরায় আটকে পড়া শ্রমিকদের এসব চিত্র ধরা পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা গেছে, টানেলের ভেতরে কর্মীরা কথা বলছেন। তাদের মধ্যে খাবার বণ্টন করা হচ্ছে। প্রত্যেকেরই মাথায় হেলমেট পরা রয়েছে। মলিন মুখে তারা দাঁড়িয়ে আছেন। 

সংবাদমাধ্যম এএনআই যে ভিডিও প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গেছে ক্যামেরার দিকে তাকাচ্ছেন কয়েক জন শ্রমিক। তাদের মধ্যে একজন যন্ত্রের মাধ্যমে উদ্ধারকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন। কেউ কেউ টানেলের উপরের দিকে তাকাচ্ছেন। মুখে অনিশ্চয়তার ছাপ স্পষ্ট।

গত ১০ দিন ধরে উত্তরকাশীর টানেলে আটকে আছেন ৪১ জন শ্রমিক। ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে তাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু এখনো তেমন কিছু করা যায়নি। যত সময় এগোচ্ছে, উৎকণ্ঠা আরও বাড়ছে। পাইপের মাধ্যমে উদ্ধারকারীরা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। পরিজনদের সঙ্গেও সে ভাবেই কথা বলছেন শ্রমিকরা। পাইপ দিয়ে সোমবার শ্রমিকদের কাছে খিচুড়ি, ডালিয়া ও নানা রকম ফল পাঠানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দলও পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে।

উদ্ধারকারীরা পাইপের মাধ্যমে এন্ডোস্কোপিক ফ্লেক্সি ক্যামেরা টানেলের ভেতর পাঠিয়েছিলেন। তাতেই আটকে পড়া শ্রমিকদের প্রথম ভিডিওটি ধরা পড়েছে।

আটকে পড়া সব শ্রমিকই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সোমবার নতুন পাইপের মাধ্যমে টানেলের ভেতর পাঠানো হয়েছে একটি মোবাইল ফোন এবং চার্জার।

টানেলের অন্তত ৬০ মিটার গভীরে শ্রমিকেরা আটকে আছেন। এখনও পর্যন্ত মাত্র ২৪ মিটার খোঁড়া গেছে। নানা দিক থেকে ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পাশ থেকে সম্ভব না হলে উপর দিক থেকেও মাটি খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হবে।

আরও চার থেকে পাঁচ দিন লাগতে পারে শ্রমিকদের টানেল থেকে বার করে আনার জন্য, জানিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।

সূত্র: এনডিটিভি

এমএসএম

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।