ঘরে ৪ মরদেহ

স্ত্রীর পরকীয়ায় শেষ পুরো পরিবার?

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:১৯ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন ভারতে গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করা হলো দম্পতি ও দুই সন্তানের পচাগলা মরদেহ। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করে স্বামী আত্মঘাতী হয়েছিলেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।

রোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার খরদহ পৌরসভার এম এস মুখোপাধ্যায় রোডের করবি টাওয়ারস নামে একটি আবাসিক প্রকল্পে।

আরও পড়ুন>> নামাজ পড়তে বেরিয়ে তৃণমূল নেতা খুন, সন্দেহভাজনকে পিটিয়ে হত্যা

মৃত বৃন্দাবন কর্মকার পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী ছিলেন। করবি টাওয়ারসে স্ত্রী ও চৌদ্দ বছরের মেয়ে ও আট বছরের ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।

বেশ কিছুদিন ধরে বৃন্দাবন কর্মকার প্রতিবেশীদের কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বলতেন না। গত বৃহস্পতিবার রুটি কিনতে যাওয়ার পথে শেষবার তাকে দেখেছিলেন আবাসনের বাসিন্দারা।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে বৃন্দাবনের ঘর থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। আবাসনের অন্য বাসিন্দার অনেক ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরে খবর দেওয়া হয় খড়দহ থানায়।

আরও পড়ুন>> পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশি নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখে, মেঝেতে বৃন্দাবন কর্মকারের স্ত্রী ও দুই সন্তানের দেহ নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঘরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কালো হয়ে যাওয়া রক্তের দাগ। আর ঘরের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বৃন্দাবন কর্মকারের মরদেহ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মরদেহের পাশে একটি একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। স্ত্রীর বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক সন্দেহে অশান্তির জেরেই এই হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ রয়েছে তাতে।

আরও পড়ুন>> কলকাতায় ডেঙ্গুর পর আতঙ্কের নাম ম্যালেরিয়া

জানা গেছে, সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, বৃন্দাবন কর্মকারের যাবতীয় সম্পত্তি যেন কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দান করে দেওয়া হয়।

এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ডিডি/কেএএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।