১৭ বছর পর স্পেনে হঠাৎ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল
প্রায় দেড় যুগ পর এ বছর স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছেছেন রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী। এর ফলে ভেঙে গেছে ১৭ বছর আগে সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী আগমনের রেকর্ড।
এ সপ্তাহে স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ৩২ হাজার ৪৩৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন>> ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথে ইউরোপ যাওয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশিরা
এর আগে সবশেষ এত বেশি সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী গিয়েছিলেন ২০০৬ সালে। স্প্যানিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, ওই বছর বিপজ্জনক সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছেছিলেন ৩১ হাজার ৭৬৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী।
২০২২ সালের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, এ বছর একই সময়ের ব্যবধানে ক্যানারিতে পৌঁছানো অভিবাসীর সংখ্যা ১১৮ গুণ বেড়েছে।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়ে বেহাল অবস্থা সাতটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের৷ এই পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আরও বেশি সহায়তা দাবি করেছে আঞ্চলিক সরকার।
আরও পড়ুন>> যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় স্থানান্তর ‘বেআইনি’
ভূমধ্যসাগরে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের পর আফ্রিকার দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা ইউরোপমুখী মানুষদের কাছে বিকল্প রুট হয়ে উঠেছে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ। বিশেষ করে, মরক্কো, পশ্চিম সাহারা, মৌরিতানিয়া, গাম্বিয়া ও সেনেগালের নাগরিকরা বিপজ্জনক এই পথ ব্যবহার করে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেন।
এর জন্য অভিবাসনপ্রত্যাশীরা বেশিরভাগ সময়ে ছোট ছোট মাছ ধরার নৌকা ব্যবহার করেন। সেনেগাল থেকে ক্যানারির দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার বা এক হাজার মাইল। এই পথ পাড়ি দিতে অন্তত সাত দিন সময় লাগে।
আরও পড়ুন>> অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আলবেনিয়ায় পাঠাবে ইতালি
স্প্যানিশ এনজিও ক্যামিনান্দো ফ্রন্তেরাস জানিয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছাতে গিয়ে অন্তত ৭ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।
স্পেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফার্নান্দো গ্রান্দে-মারলাস্কা গত অক্টোবরে জানিয়েছিলেন, বছরের শুরু থেকে ১২ হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ক্যানারিতে পৌঁছাতে বাঁধা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: এএফপি, ইনফোমাইগ্রেন্ট
কেএএ/