মালদোভায় গিয়ে কুকুরের কামড় খেলেন অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৩ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
কামড়ে দেওয়া কুকুরটির সঙ্গে মালদোভার প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্দু (ডান থেকে), স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট নাতাশা ও অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভ্যান-ডার বেলেন/ ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রীয় সফরে পূর্ব ইউরোপের দেশ মালদোভায় অবস্থান করছেন অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভ্যান-ডার বেলেন। সেখানেই ঘটে গেছে অপ্রীতিকর একটি ঘটনা। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ভ্যান-ডার বেলেনের হাতে কামড় দিয়ে বসেছে একটি কুকুর।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রিয়ান প্রেসিডেন্টকে কামড় দেওয়া কুকুরটি মালদোভার প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্দুর পোষা। রাজধানী কিশিনেভে অবস্থিত মালদোভার প্রেসিডেন্টের বাসভবনেই অপ্রীতিকর ওই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, ঘটনার সময় নিজ বাসভবনের উঠানে অস্ট্রিয়ান প্রেসিডেন্টকে নিয়ে হাঁটাহাঁটি করছিলেন মালদোভার প্রেসিডেন্ট। এ সময় কাছাকাছি থাকা কুকুরটিকে আদর করতে গেলে ভ্যান-ডার বেলেনের হাতে কামড় দিয়ে বসে।

অপ্রীতিকর এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন মালদোভার প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্দু। তিনি জানান, তার পোষা ওই কুকুরটির নাম কোড্রাট। একটি দুর্ঘটনা থেকে উদ্ধারের পর ওই কুকুরটিকে তিনি দত্তক নিয়েছিলেন।

‘এমনিতে শান্ত ও বন্ধুত্বপূর্ণ কুকুর কোড্রাট। তবে সেদিন আশপাশে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখে কুকুরটি ভীত হয়ে পড়েছিল, আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।’

ঘটনার পর ভ্যান-ডার বেলেনের পরবর্তী বৈঠক ছিল মালদোভার স্পিকারের সঙ্গে। সেই বৈঠকে হাতে ব্যান্ডেজ নিয়েই হাজির হন তিনি।

শনিবার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ভ্যান-ডার বেলেন কুকুরটির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন যে, আমি একজন বড় কুকুরপ্রেমী ও আমি তারা কখন কোন আচরণ করে তা বুঝি।

সফরের শেষ দিনে কুকুরটিকে একটি ছোট খেলনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অস্ট্রিয়ান প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রিয় পোষা ‍কুকুর ‘কমান্ডার’। একে একে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের ১১ জন এজেন্টকে কামড় দিয়ে হোয়াইট হাউজ ছাড়া হয় কুকুরটি।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।