ইসরায়েলি হামলায় গাজার অধিকাংশ হাসপাতাল অকার্যকর
ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলায় গাজার হাসপাতালগুলো আকার্যকর হয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় অবস্থিত ৩৬ হাসপাতালের মধ্যে ২২টিতেই সেবা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। জ্বালানির অভাব, ক্ষয়ক্ষতি, হামলা ও অনিরাপত্তায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা জানায়, গাজায় বর্তমানে মাত্র ১৪টি হাসপাতাল চালু রয়েছে। কিন্তু এসব হাসপাতালে জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জামের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
আরও পড়ুন>যুদ্ধের জেরে ইসরায়েলের ঋণ বেড়েছে প্রায় ৮০০ কোটি ডলার
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে গাজার হাসপাতালগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মাঝে জন্ম নেওয়া অপরিণত নবজাতকদের বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন স্থানীয় চিকিৎসকরা। জানা গেছে, বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতালের ইনকিউবেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নবজাতকদের ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে গরম পানির পাশে রাখা হচ্ছে।
অপরিণত বয়সে জন্ম নেওয়া নবজাতকদের ইনকিউবেটরে রাখতে হয়, যা চালাতে বিদ্যুতের দরকার হয়। কিন্তু বিদ্যুৎহীন গাজায় জ্বালানি ঢুকতে না দেওয়ায় হাসপাতালগুলোর জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ইনকিউবেটরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন>ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলায় মাইক কেড়ে নেওয়া হলো গ্রেটা থানবার্গের
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই ইসরায়েলের মূল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে গাজার আল-শিফা হাসপাতাল। এর আশপাশের রাস্তায়গুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এমএসএম