নিলামে টাইটানিকের মেন্যুকার্ড, দাম ছাড়ালো ১ কোটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩২ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

একশ এগারো বছর আগে আটলান্টিক মহসাগরের বুকে ডুবে গেছে বিশ্বখ্যাত জাহাজ টাইটানিক। কিন্তু সমুদ্রের অতলে হারিয়ে যাওয়া এ জাহাজ এখনো নানা কারলে সংবাদের শিরোনাম হয়। এবার যাত্রীদের খাবারের মেন্যুকার্ড নিলামে তোলা নিয়ে শিরোনাম হলো টাইটানিক।

জানা গেছে, সম্প্রতি নিলামে তোলা হয় টাইটানিকে মেন্যুকার্ড। এর দাম উঠেছে ৮৩ হাজার পাউন্ড যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক কোটি ১২ লাখ ৬৮ টাকা। একই সঙ্গে নিলামে উঠেছে ডুবে যাওয়া জাহাজের এক যাত্রীর ঘড়ি, কম্বল ও একটি পতাকা।

আরও পড়ুন: এ যেন রূপকথার কোনো নদী

বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাজকীয় খাবার-দাবারের ওই মেনুকার্ড-ই সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হবে। নিলামে ওঠা ওই খাদ্য তালিকায় ছিল স্যামন মাছ, গরুর মাংস, হাঁস, মুরগি ও কবুতরের মাংস ও ভিক্টোরিয়া পুডিংয়ের মতো রাজকীয় সব খাবার।

jagonews24

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিন্ট এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কালের বিবর্তনে সাদা মেন্যু কার্ডটি লালচে রং ধারণ করেছে। তবে প্রথম শ্রেণির খাবারের নামগুলো অনায়াসেই পড়া যায় এখনো।

আরও পড়ুন: ১০৭ বছর পর টাইটানিকের আতঙ্ক ফিরল নরওয়েতে

কার্ডের ডান পাশে লেখা, এপ্রিল ১১, ১৯১২। উপরে একটি লাল পতাকা, যার মাঝে রয়েছে সাদা তারা। এটি আসলে টাইটানিকের পতাকা। সেকালের বৃহত্তম জাহাজের অহংকারের প্রতীক। যে অহংকার বিরাট হিমশৈল’র আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়েছিল।

টাইটানিকডুবিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত দেড় হাজার মানুষ। যারা লাইফবোটে জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন, শুধু তারাই এই বিপর্যয় থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন। তেমনই কোনো এক যাত্রী হয়তো টাইটানিক ছাড়ার আগে একটি মেন্যুকার্ড স্মৃতি হিসেবে রেখে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: বাইডেনের নাতনির গাড়ি ছিনতাইয়ের চেষ্টা

সে সময়ের বিশেষজ্ঞেরা বলেছিলেন, টাইটানিক কোনো দিন ডুববে না। কিন্তু সেই ভবিষ্যদ্বাণী খুব দ্রুতই মিথ্যা প্রমাণিত হয়। যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কগামী জাহাজটি প্রথম সফরেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে একটি প্রকাণ্ড হিমশৈলে ধাক্কা লেগে ফাটল ধরে টাইটানিকে। সেই রাতেই জাহাজটি ডুবে যায়।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।