উষ্ণ রাখতে ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে রাখা হচ্ছে গাজার নবজাতকদের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে গাজার হাসপাতালগুলো খুব বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরই মধ্যে উপত্যকাটির প্রায় সব হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতির মাঝে জন্ম নেওয়া অপরিণত নবজাতকদের বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন স্থানীয় চিকিৎসকরা। জানা গেছে, বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতালের ইনকিউবেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নবজাতকদের ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে গরম পানির পাশে রাখা হচ্ছে।
অপরিণত বয়সে জন্ম নেওয়া নবজাতকদের ইনকিউবেটরে রাখতে হয়, যা চালাতে বিদ্যুতের দরকার হয়। কিন্তু বিদ্যুৎহীন গাজায় জ্বালানি ঢুকতে না দেওয়ায় হাসপাতালগুলোর জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ইনকিউবেটরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের জেরে ইসরায়েলের ঋণ বেড়েছে প্রায় ৮০০ কোটি ডলার
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই ইসরায়েলের মূল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে গাজার আল-শিফা হাসপাতাল। এর আশপাশের রাস্তায়গুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, হাসপাতালটির জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে আগেই। এতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র, শিশু বিভাগ, অক্সিজেন ডিভাইসগুলোসহ বন্ধ হয়ে গেছে উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতালটির চিকিৎসা কার্যক্রম। সোমবার (১৩ নভেম্বর) পর্যন্ত এই হাসপাতালে মোট ছয়টি অপরিণত নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় আবারও শরণার্থী শিবিরে হামলা, নিহত ৩১
এমন পরিস্থিতিতে অপরিণত নবজাতকদের বাঁচিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিদ্যুৎ ও অক্সিজেন সরবরাহ ফুরিয়ে যাওয়ায় ইনকিউবেটর থেকে সরিয়ে তাদের ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে গরম পানির পাশে রাখা হচ্ছে। সিএনএন আল-শিফা হাসপাতালের একটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি নবজাতককে বিছানায় একসঙ্গে রাখা হয়েছে, যারা ইনকিউবেটরে ছিল তারা।
এ বিষয়ে হাসপাতালটির পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, অপরিণত নবজাতকদের ইনকিউবেটর থেকে বের করে ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে গরম পানির পাশে রাখা হয়েছে। যাতে তারা উষ্ণ থাকে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলায় মাইক কেড়ে নেওয়া হলো গ্রেটা থানবার্গের
পরিচালক আবু সালমিয়া আরও বলেন, বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতালের ভেতরের কোনো অপারেটিং কক্ষই কাজ করছে না। যাদের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন, তারা মারা যাচ্ছেন। আমরা কিছুই করতে পারছি না।
আল-শিফার ভেতরে অবস্থান করা এক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক বলেন, কয়েক ডজন লাশ এখনো দাফন করা হয়নি। অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহত ব্যক্তিদের নিতে পারছে না ও বিদ্যুৎ না থাকায় লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমও কাজ করছে না। চিকিৎসকরা মোমবাতি জ্বালিয়ে কাজ করছেন।
সূত্র: সিএনএন, আল জাজিরা
এসএএইচ