গাজার সংঘাতে জাতিসংঘের শতাধিক কর্মী নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৪ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় জাতিসংঘের বহু কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই আগ্রাসনে শতাধিক কর্মী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। শুক্রবার এক ঘোষণায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন বেকারিতে রুটি কেনার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারান তারা। এছাড়া বাকিরা পরিবার পরিজনসহ দখলদারদের বিমান হামলায় নিজেদের বাড়ি-ঘরের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুনগাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত

ইউএনআরডব্লিউএর পরিচালক ফিলিপ লাজ্জারিনি বলেছেন, তাদের যেসব কর্মী নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, শিক্ষক, অভিভাবক ও সহযোগী স্টাফ।

এদিকে জর্দানের রাজধানী আম্মানে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ভল্কার তুর্ক বলেছেন, গাজায় জাতিসংঘ কর্মীদের নিহত হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন, আপত্তিকর ও অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। এছাড়া জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা মার্টিন গ্রিফিটস বলেছেন, এই দুঃখজনক খবরে তিনি ‘অত্যন্ত মর্মাহত’ হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় জড়িত জাতিসংঘ কর্মীদের ওপর যুদ্ধসহ কোনো অবস্থায়ই হামলা করা যায় না।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গতকাল (শুক্রবার) পর্যন্ত গাজার ১৫ হাজারেরও বেশি জায়গায় হামলার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েল। এতে ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর গাজায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজার টন বিস্ফোরক ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, আবাসন ও অবকাঠামো খাতের প্রতিটিতে ২০০ কোটি ডলার করে ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজায় নারী ও শিশুদের হত্যা করা বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেন, বোমা হামলার পক্ষে কোনো যুক্তি নেই, এর কোনো বৈধতা নেই। যুদ্ধবিরতি হলে ইসরায়েলের উপকার হবে।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে আমরা স্বীকৃতি দেই। একই সঙ্গে আমরা গাজায় এই বোমাবর্ষণ বন্ধ করারও আহ্বান জানাই। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, পরিষ্কার ভাবে হামাসের ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায় ফ্রান্স। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর মতো ফ্রান্সও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে।

আরও পড়ুন: বিশ্বনেতাদের উচিত হামাসের নিন্দা করা: নেতানিয়াহু

ম্যাক্রোঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য নেতারা তার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আহ্বানে যোগ দেবেন এমনটা তিনি চান কি না। এর উত্তরে তিনি বলেন, আমি আশা করি তারা সেটা করবে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।