ভারত

একটি পরিবারের জন্য ভোটকেন্দ্র করা হচ্ছে যে গ্রামে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:০২ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২৩
রাজস্থানের বাড়মার কা পার গ্রাম /ছবি: সংগৃহীত

রাজস্থানের ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী ছোট্ট একটি গ্রাম ‘বাড়মার কা পার’। এ গ্রামের বাসিন্দা মাত্র ৩৫ জন ও তারা সবাই আবার একই পরিবারের সদস্য। আর তাদের জন্যই আলাদা একটি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করবে ভারতের নির্বাচন কমিশন। এটি হতে যাচ্ছে ভারতের সবচেয়ে কম ভোটারবিশিষ্ট ভোটকেন্দ্রের একটি।

বর্তমানে ভারতের পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন চলছে। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ভোটগ্রহণ হয়েছে ছত্তিশগড় ও মিজোরাম রাজ্যে। আর রাজস্থানে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৫ নভেম্বর। এই ভোটগ্রহণ সামনে রেখে ভারতের নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন এলাকায় ভোটকেন্দ্র স্থাপনের কাজ করে যাচ্ছে। আর এরই অংশ হিসেবে বাড়মার কা পার গ্রামে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গ্রামটিতে ১৭ জন নারী ও ১৮ জন রেজিস্টার্ড ভোটার রয়েছেন। জাতীয় কিংবা বিধানসভা নির্বাচনের সময় এই গ্রামের বাসিন্দাদের ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কারণ গ্রামটির কাছাকাছিও কোনো ভোটকেন্দ্র নেই। ভোট দিতে চাইলে গ্রামবাসীদের যেতে হয় ২০ কিলোমিটার দূরের ভোটকেন্দ্রে।

অন্যদিকে, যোগাযোগব্যবস্থা সহজ না হওয়ায় গ্রামটির বাসিন্দাদের ভোট দিতে যেতে হয় পায়ে হেঁটে, নয়তো উটে চড়ে। বিষয়টি পুরুষদের জন্য কিছুটা সহজ হলেও নারী ও বয়স্কদের জন্য খুবই কষ্টকর। তাই অধিকাংশ সময় এই গ্রামের নারী ও বয়স্করা ভোটদান থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হন।

তবে চলতি বছর ভারতের নির্বাচন কমিশন গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভোগের বিষয়টি আমলে নেয় ও সেখানে একটি ভোটকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এই খবর শুনে গ্রামবাসীরা বেশ খুশি হয়েছেন। প্রথমবারের মতো গ্রামের সবাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি ‍কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন তারা।

২০১৮ সালে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসনের মধ্যে ৯৯ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে কংগ্রেস। দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা অশোক গেহলট বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক ও স্বতন্ত্র বিধায়কদের সহায়তা নিয়ে সরকারপ্রধান হন। বিরোধী দল বিজেপি পায় ৭৩টি আসন।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।