গাজায় হামলা

ত্রাণ-জিম্মিদের জন্য সামান্য বিরতির কথা ভাবছে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৪ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ত্রাণ প্রবেশ এবং গাজা উপত্যকা থেকে জিম্মিদের বের করে আনতে গাজায় ‘কৌশলগত সামান্য বিরতি’ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে তার দেশ। কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকার পরেও যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।

নেতানিয়াহু বলেন, একটি সাধারণ যুদ্ধবিরতি তার দেশের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে। তবে মানবিক কারণে লড়াইয়ে বিরতি দেওয়া ইসরায়েলের শীর্ষ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত একটি ধারণা। পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

আরও পড়ুন: শিশুদের জন্য কবরস্থানে পরিণত হয়েছে গাজা: জাতিসংঘ

ইসরায়েলে এবং গাজার নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস উভয়ই যুদ্ধবিরতি জন্য তৈরি হওয়া প্রবল আন্তর্জাতিক চাপ প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরায়েলের দাবি, আগে হামাসের হাতে বন্দি সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। আর হামাস বলছে, গাজায় হামলা চালানো বন্ধ না হলে তাদের মুক্তি দেওয়া হবে না আর লড়াইও থামানো হবে না।

সোমবার এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নেতানিয়াহু বলেন, এখানে এক ঘন্টা, সেখানে এক ঘন্টা এরকম কৌশলগত সামান্য বিরতি আমরা আগেও দিয়েছি। আমি মনে করি বিভিন্ন ধরনের পণ্য, মানবিক পণ্য আসার জন্য বা জিম্মিদের বের করে আনার জন্য এটা হতে পারে। তবে আমি মনে করি না যে, সাধারণ যুদ্ধবিরতি হবে।

এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে রক্তাক্ত সংঘাতের এক মাস পূর্ণ হলো আজ। গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় ক্রমাগত পাল্টা আক্রমন করতে থাকে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলি হামলা এতটাই তীব্র রূপ নিয়েছে যে, গত এক মাসে সেখানে যত হতাহত হয়েছে তা ২১ মাসে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের হতাহতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকেই ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চার হাজারের বেশিই শিশু। সব মিলিয়ে এক চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে গাজার অন্তত ২০ লাখ মানুষ। হামলা থেকে বাঁচতে সবাই দক্ষিণের পথে পা বাড়ালেও জাতিসংঘ বলছে গাজার কোনো জায়গায়ই এখন নিরাপদ নয়।

এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত পার হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই এই লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের। মিশরের সীমান্ত ঘেঁষা রাফাহ ক্রসিংও খোলা হচ্ছে শর্ত সাপেক্ষে। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংকটে অবরুদ্ধ গাজার লাখ লাখ মানুষ এক প্রকার মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু

গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬৫ শতাংশই নারী ও শিশু।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।