যুদ্ধ শেষে গাজার দায়িত্ব ফিলিস্তিনকেই নিতে হবে: ব্লিঙ্কেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৯ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার আগ পর্যন্ত ইসরায়েল থামবে না। তবে ইসরায়েল গাজার দখলও নেবে না। তাই পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন সরকার বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকেই (পিএ) গাজার দায়িত্ব নিতে হবে।

রোববার (৫ নভেম্বর) আকস্মিক সফরে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে যান ব্লিঙ্কেন। রামাল্লা শহরে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ভবিষ্যৎ কী হবে তা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষই নির্ধারণ করবে বলে মনে করি। এ জন্য পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন সরকারের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: গাজাকে বিভক্ত করে ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী

মাহমুদ আব্বাস জানান, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকা মিলেই ফিলিস্তিন। গাজা সবসময়ই ফিলিস্তিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ও এটির ভবিষ্যৎ দায়িত্ব সম্পর্কে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সদা সচেতন।

বৈঠকে গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন মাহমুদ আব্বাস। তবে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিতে রাজি নয়। হামাসের হাতে জিম্মি ও গাজার বেসামরিক লোকজনের স্বার্থে একটি মানবিক বিরতি ঘোষণার জন্য ইসরায়েলকে রাজি করাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:  জাতিসংঘের সংস্থাগুলো অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে

মাহমুদ আব্বাস একই সঙ্গে পিএ জোট ও এই জোটের ফাতাহ দলের প্রেসিডেন্ট। ২০০৭ সালের আগ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় পিএ জোটের সরকারই ক্ষমতাসীন ছিল। ২০০৭ সালে গাজায় স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের উত্থান ঘটে। এরপর পিএ জোটকে সরিয়ে উপত্যকার দখল নেয় হামাস।

হামাস বরাবরই সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। অন্যদিকে, আলোচনা-কূটনীতি ও রাজনৈতিক উপায়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় আব্বাসের নেতৃত্বাধীন পিএ।

হামাস-ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ ঘিরে ব্লিঙ্কেন বেশ কয়েকবার ইসরায়েল ও অন্যান্য আরব দেশ সফর করেছেন। কিন্তু গত ৭ অক্টোবরের পর ব্লিঙ্কেনের এটিই প্রথম পশ্চিম তীর সফর।

আরও পড়ুন: গাজায় শিশু মৃত্যু ৪ হাজার ছাড়ালো

নিরাপত্তার স্বার্থে এ সফর সম্পর্কে আগে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি বলে জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) জর্ডান ও ইসরায়েল সফরে যান ব্লিঙ্কেন। পশ্চিম তীর সফর শেষে তুরস্কে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।

সূত্র: রয়টার্স

এসএএইচ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।