সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে মিয়ানমারের ওপর চীনের চাপ
সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন। দেশটির দুটির মধ্যকার একটি কৌশলগত বাণিজ্যিক ফাঁড়ি জান্তাবিরোধীরা দখল করে নেওয়ার পর এই আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।
চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নং রং গত শুক্রবার ও শনিবার মিয়ানমার সফর করেছেন। এসময় জান্তা সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে তার।
আরও পড়ুন>> মিয়ানমারের বৈদেশিক আয়ের মূল উৎসে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীন-মিয়ানমার সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে মিয়ানমারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন নং।
মিয়ানমার সফরকালে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান শয়ে এবং উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইন ওওর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
এসময় জান্তা সরকারকে চীনা সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং মিয়ানমারে চীনা কর্মী, প্রতিষ্ঠান এবং প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।
আরও পড়ুন>> ‘আরও তীব্র’ হয়ে উঠেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শান রাজ্যের জাতিগত সংখ্যালঘুদের একটি জোট।
গত সপ্তাহে ওই অঞ্চলে অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছে চীন। সেখানে বেইজিংয়ের রোড অ্যান্ড বেল্ট (বিআরআই) উদ্যোগের আওতাধীন শত কোটি ডলারের একটি রেলওয়ে প্রকল্প রয়েছে।
আরও পড়ুন>> এশিয়ায় চীনের বিশাল বিনিয়োগ কি ব্যর্থ হচ্ছে?
শনিবার মিয়ানমার জান্তা বলেছে, শান রাজ্যে তাদের বাহিনীর ওপর হামলায় যোগ দিয়েছে প্রতিবেশী কাচিন রাজ্যের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ)। এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সামরিক জান্তা।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীন সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত শহর লাইজাতে গোলাবর্ষণ করেছে জান্তা বাহিনী। ওই এলাকাটি কেআইএর সদর দপ্তর হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন>> অভ্যুত্থানের পর থেকে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র কিনেছে মিয়ানমার
সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি
কেএএ/