গাজার আরও একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১০ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আরও একটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।

এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা জানিয়েছেন, দেইর আল বালাহ হাসপাতালে ৩০টির বেশি মরদেহ পৌঁছেছে। তবে এর আগে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, নিহতের সংখ্যা ৫১।

আরও পড়ুনইউক্রেন থেকে বিশ্বের নজর সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই গাজার এখানে সেখানে বোমা মেরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হচ্ছে। এমনকি দখলদারদের হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না অ্যাম্বুলেন্স, স্কুল বা হাসপাতালও।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকায় সেখানে আর কোনো জায়গাই এখন নিরাপদ নেই বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা। এক বিবৃতিতে সংস্থাটির পরিচালক টমাস হোয়াইট জানান যে, সেখানকার বাসিন্দাদের বাঁচাতে জাতিসংঘের কোনো কিছুই করার নেই।

অপরদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শেষ হলে গাজাকে অবশ্যই স্বাধীন ফিলিস্তিনের অংশ হতে হবে। ইতিহাস থেকে ফিলিস্তিনিদের মুছে ফেলার মডেলকে ‍তুরস্ক কখনোই সমর্থন দেবে না। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) কাজাখস্তান সফর শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুন: ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত ফিরিয়ে নিলো তুরস্ক

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ভূমিকাকেও সমালোচনা করেছেন এরদোয়ান। বলেছেন, গাজার বর্তমান পরিস্থিতি ও এই যুদ্ধে ইইউ ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়নি। এ কারণে ইইউয়ের উপর মানুষের যে আস্থা ছিল, সেটা নষ্ট হয়ে গেছে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।