কিছু বিদেশি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৯ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০২৩
কয়েক দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক বিদেশি জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তৃতায় হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা এ প্রতিশ্রুতি দেন।
আবু ওবেদা বলেন, আমরা মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়ে দিয়েছি যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক বিদেশিকে মুক্তি দেওয়া হবে। কারণ গাজাকে আমরা ইসরায়েলি সেনাদের কবরস্থান বানাতে চাই।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে তেল-খাদ্য রপ্তানি বন্ধের আহ্বান ইরানের
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গাজায় এই মুহূর্তে হামাসের হাতে অন্তত ২৪০ জন জিম্মি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে পাঁচজন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে হামাস, তাদের মধ্যে একজন ইসরায়েলি সেনাও রয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এতে হামাসের কেন্দ্রীয় জাবালিয়া ব্যাটালিয়নের কমান্ডার ইব্রাহিম বিয়ারি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। একই সময়ে আরও অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। তবে হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম ইসরায়েলের দাবিকে অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: ফের ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর হামাসের সামরিক অভিযানগুলো তত্ত্বাবধান করতেন ইব্রাহিম বিয়ারি। কয়েক দশক আগে ইসরায়েলে একাধিক হামলার সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন। গতকাল জাবালিয়া ক্যাম্পে বিমান হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ইলাতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীগোষ্ঠী। তবে এ হামলায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মিশরে প্রবেশ করছেন অসুস্থ ফিলিস্তিনি-বিদেশি নাগরিকরা
গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ দিনের সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৮০০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি শিশু রয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ