এখন যুদ্ধের সময়: নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪০ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অস্ত্র বিরতির আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তার দাবি, অস্ত্র বিরতিতে সম্মত হলে তা হবে হামাসের কাছে ‘আত্মসমর্পণের সমান’। তেল আবিবে ভাষণ দেওয়ার সময় নেতানিয়াহু বাইবেলের কিছু উক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, এখন যুদ্ধের সময়। খবর বিবিসির।

এদিকে নিরাপত্তা কাউন্সিলে জরুরি বৈঠকে জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থাগুলো আবারও মানবিক অস্ত্র বিরতির জন্য আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ বলছে, প্রতি ঘণ্টায় গাজার অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: এবার বেসামরিক নাগরিকদেরও অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার আহ্বান

সাম্প্রতিক সময়ে যে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা শিশুদের জীবনের বিনিময়ে পরিশোধ করতে হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

এর আগে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা থেকে প্রাইভেট ওরি মেগিডিস নামে এক সেনাকে উদ্ধার করেছেন। তাকে গত ৭ অক্টোবর জিম্মি করেছিল স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

হামাস গাজায় থাকা তিনজন জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী একে নিষ্ঠুর মানসিক প্রচারণা বলে উল্লেখ করেছেন। ভিডিওতে থাকা এক নারীর বাবা বলেছেন, তার মেয়েকে ভিডিওতে দেখার পর তার হৃৎস্পন্দন প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত ও প্রায় ২৩৯ জনকে জিম্মি করার পর থেকে গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। গাজায় হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত আট হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

এদিকে গাজার ভোর বেলার সরাসরি সম্প্রচারিত একটি ভিডিও ফুটেজে দূর থেকে গাজার কিছু অংশ দেখা যায়, যেখানে অন্ধকারেও যুদ্ধ চলছে। গত কয়েক দিনে ইসরায়েল সেখানে দফায় দফায় বিমান হামলা চালাচ্ছে। আর গাজার রাস্তায় ইসরায়েলের ট্যাঙ্কও দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: গাজায় প্রাণ হারিয়েছে ৩১ সাংবাদিক

এর মধ্যেই লাখ লাখ ফিলিস্তিনি গাজায় আরও উদ্বিগ্ন সময় পার করছেন। এদের অনেকে ইসরায়েলের সতর্কতায় সাড়া দিয়ে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।