ইসরায়েল-গাজায় সেনা পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র: কমলা হ্যারিস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৯ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, ইসরায়েল বা গাজায় সেনা পাঠানোর কোনো আগ্রহ নেই ওয়াশিংটনের। সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ইসরায়েল বা সিরিয়ায় আমাদের এ ধরনের কোনো আগ্রহ নেই বা আমরা এ ধরনের কোনো পরিকল্পনাও করছি না।

ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে বলে দেশটির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার সময় তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইসরায়েলে ১৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কোনো রকম প্রশ্ন ছাড়াই ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।

আরও পড়ুন: গাজায় ‘অভিযান’ সহজে থামবে না: নেতানিয়াহু

তিনি আরও বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে হামাস ফিলিস্তিনিদের প্রতিনিধিত্ব করে না। ফিলিস্তিনিদেরও সমান নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, আত্মমর্যাদা রক্ষার অধিকার রয়েছে। আমরা খুব স্পষ্ট করেই বলেছি যে, যুদ্ধের নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে এবং সেখানে মানবিক সহযোগিতা সরবরাহ করতে হবে।

তবে সম্প্রতি মার্কিন সংবাদ সংস্থা দ্যা ইন্টারসেপ্ট দাবি করেছে যে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কাছে ইসরায়েল-অধিকৃত ভূখণ্ডে গোপন সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল যখন গাজা উপত্যকা ভয়াবহ বর্বরতা চালাচ্ছে ঠিক সে সময়ই এমন উদ্যোগ নিয়েছে ওয়াশিংটন।

ইন্টারসেপ্ট বলছে, পেন্টাগন নিঃশব্দে গাজা উপত্যকা থেকে মাত্র ২০ মাইল দূরে নেগেভ মরুভূমির গভীরে গোপন সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের জন্য এগিয়ে চলেছে। এই ঘাঁটির কোডনাম দেওয়া হয়েছে সাইট- ৫১২।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘস্থায়ী এই ঘাঁটি প্রকৃতপক্ষে একটি রাডার স্টেশন হিসেবে কাজ করবে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণের জন্য এই ঘাঁটি নির্মাণ করা হবে।

৭০০ মাইল দূরে অবস্থিত ইরান থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হচ্ছে কি না মূলত সেদিকেই এই ঘাঁটির নজর থাকবে। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস হাজার হাজার রকেট দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালায় এবং সেসব রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় ইসরায়েল।

ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধ শুরুর প্রায় দুই মাস আগে পেন্টাগন সাইট ৫১২-তে মার্কিন সেনাদের জন্য এই ঘাঁটি নির্মাণ করতে তিন কোটি ৫৮ লাখ ডলারের একটি চুক্তি করে।

আরও পড়ুন: বিশ্বে বছরে যত শিশু মারা গেছে তার চেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে গাজা

তবে মার্কিন প্রশাসন বরাবরই বলে আসছেন যে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের সংঘাতে সেনা মোতায়েন করবে না। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার প্রশাসন দাবি করে, বর্তমান যুদ্ধে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে মার্কিন সেনা মোতায়েনের বিষয়ে ওয়াশিংটনের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে অধিকৃত ভূখণ্ডে এরইমধ্যে গোপন মার্কিন সামরিক উপস্থিতি রয়েছে এবং সরকারি চুক্তি এবং বাজেট বরাদ্দের নথিপত্র থেকে এটা স্পষ্ট যে, দিন দিন তা বাড়ছে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।