ফোন-ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন

গাজার খবর বাইরে আসতে দিচ্ছে না ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩২ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

বহির্বিশ্বের সঙ্গে গাজা উপত্যকার টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ইসরায়েল। এর ফলে সেখানে কী ঘটছে, সেই তথ্য জানার পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থাৎ, ফিলিস্তিনি এলাকাটিতে ইসরায়েল ব্যাপক নৃশংসতা চালালেও বাইরের মানুষ তা আর জানতে পারবে না। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শুক্রবার গাজায় ইন্টারনেট সংযোগ ও ফোন নেটওয়ার্ক পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনি উপত্যকাটিতে বোমাবর্ষণ শুরুর প্রায় তিন সপ্তাহ পর এই ব্যবস্থা নিয়েছে ইসরায়েল।

আরও পড়ুন>> গাজায় স্থল অভিযান শুরু ইসরায়েলের

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আচমকা হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এতে অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হন। এছাড়া প্রায় ২২০ জনকে জিম্মি করেছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। তারই জেরে পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরায়েল। নির্বিচার বিমান হামলায় গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসাবশেষে পরিণত করেছে তারা। এতে এ পর্যন্ত সাত হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশই শিশু।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের সমন্বিত বোমাবর্ষণের মধ্যে ব্যাপক ফোন ও ইন্টারনেট বিভ্রাট ঘটেছে। এতে উপত্যকার ২২ লাখ মানুষ বহির্বিশ্ব থেকে প্রায় সম্পূর্ণরূপে সংযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন>> গাজায় প্রায় তিন হাজার শিশু নিহত

সংস্থাটির প্রযুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক ডেবোরা ব্রাউন বলেছেন, এই তথ্য বিচ্ছিন্নতাকে ব্যাপক নৃশংসতা আড়াল করার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়মুক্তিতে ব্যবহার করা হতে পারে।

এরই মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন জানিয়েছে, গাজায় তাদের কর্মীদের সঙ্গে আর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিবার সংস্থা ওসিএইচএ।

আরও পড়ুন>> গাজায় ২৪ ঘণ্টায় জাতিসংঘের ১৪ কর্মী নিহত

সংস্থাটির মানবিক সমন্বয়কারী লিন হেস্টিংস এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিদ্যুৎ, খাদ্য, পানি ও ওষুধের পাশাপাশি যোগাযোগ না থাকলে জাতিসংঘের হাসপাতাল ও মানবিক কার্যক্রমগুলো চলতে পারবে না।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও জানিয়েছে, গাজায় তাদের কর্মীদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সংগঠনটি বলেছে, এই যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার অর্থ হলো- গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে সমালোচনামূলক তথ্য ও প্রমাণ পাওয়া আরও কঠিন হবে।

সূত্র: এনডিটিভি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।