ইসরায়েলি হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নিহত, অলৌকিকভাবে সন্তানের জন্ম
ইসরায়েলের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত হয়েছেন। তবে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে তার গর্ভের সন্তান। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিহত ওই নারীর ডেলিভারির মাধ্যমে সদ্যজাত শিশুটিকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, শিশুটি ঘুমিয়ে আছে। তাকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে এবং তার শরীরে বেশ কিছু টিউব লাগিয়ে রাখা হয়েছে। দক্ষিণ গাজার নাসের হসপিটালের নবজাতক ইউনিটে শিশুটি চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার হাসপাতালে জেনারেটর চলবে আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাসের আল নওয়াঝা আল জাজিরাকে বলেন, শিশুটিকে বাঁচাতে তারা সব ধরনের চেষ্টা করেছেন। বর্তমানে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
শিশুটির অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে। তবে ইসরায়েলের অবরোধের কারণে নাসের হাসপাতাল কমপ্লেক্স জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে সেখানেও চিকিৎসা ব্যবস্থা হুমকির মুখে রয়েছে।
যতই দিন যাচ্ছে গাজার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে, জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতালগুলোতে মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে যে, সেখানকার হাসপাতালগুলোর ইলেক্ট্রিক জেনারেট আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা চালু থাকতে পারবে। এই সময়ের মধ্যে জ্বালানির ব্যবস্থা করা না গেলে জেনারেটরও বন্ধ হয়ে যাবে।
ولادة من رحم المـ ـوت.. طفل يُبصر الحياة بعد استـ ـشـ ـهاد والدته في قـ ـصـ ـف للاحتلال الإسرائيلي على #غزة #غزة_لحظة_بلحظة #الجزيرة_مباشر pic.twitter.com/6l8zb5En9Q
— الجزيرة مباشر (@ajmubasher) October 24, 2023
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। গত কয়েকদিন ধরে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। এসব অভিযানে নির্বিচারে নারী ও শিশুসহ পাঁচ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজা পরিস্থিতিতে উদ্বেগপ্রকাশ/জাতিসংঘ মহাসচিবের পদত্যাগ দাবি ইসরায়েলের
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরো মঙ্গলবার সকালে টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলেন, গাজায় খুবই ধীর গতিতে মানবিক সহায়তা আসছে এবং এটা প্রকৃত অবস্থার কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না।
টিটিএন