চাহিদা কমায় মন্দার দিকে ইউরোজোন, ঝুঁকিতে বিশ্ব অর্থনীতি
ইউরোজোনে চাহিদা কমেছে ব্যাপকভাবে। এতে অঞ্চলটির অর্থনৈতিক কার্যক্রম কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। একটি জরিপে দেখা গেছে, খারাপ পথে এগোচ্ছে ইউরোজোনের চতুর্থ প্রান্তিকের অর্থনীতি। এতে মন্দারকবলে পড়তে পারে সেখানের অর্থনীতি।
মঙ্গলবারের (২৪ অক্টোবর) জরিপের ফলাফল ইউরোপীয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) জন্য হতাশাজনক। বর্তমান বাজার মূল্যে বোঝা যাচ্ছে ইসিবি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের দীর্ঘ মেয়াদে উচ্চ সুদের হারের ব্যাখ্যা স্থায়ী নাও হতে পারে।
আরও পড়ুন>হামাসের পতন হলে গাজার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে?
এইচসিওবি এর ফ্ল্যাশ ইউরোজোন কম্পোজিট পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই) অক্টোবরে কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ২০২০ সালের নভেম্বরের পর সর্বনিম্ন। করোনার সময় বাদ দিলো এই হার ২০১৩ সালের পর সর্বনিম্ন। সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
অক্সফোর্ড ইকোনমিক্সের ররি ফেনেসি বলেন, পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্সের ফলাফল ইউরোজোনের জন্য নেতিবাচক। যদিও সেপ্টেম্বরে চাহিদা পুনরুদ্ধারের আশা জেগেছিল।
এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ঝুঁকিতে পড়তে পারে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস।
ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানি মন্দার পথে। কারণ দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রম টানা চতুর্থ মাসেও সংকুচিত হয়েছে।
জার্মানির ভোক্তা সেন্টিমেন্টও নভেম্বরে টানা তৃতীয় মাসের মতো পতন দেখতে যাচ্ছে। ফলে এবছর আর ভালো কিছু আশা করা যাচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ হলো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়া।
আরও পড়ুন>মান কমলো ডলারের
ইউরোজোনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ফ্রান্স। দেশটি অর্থনৈতিক কার্যক্রমও সংকুচিত হয়েছে অক্টোবরে। ইউরোজোনের বাইরে বড় অর্থনীতি প্রতিবেশী যুক্তরাজ্যের। এই মাসে সেখানেও কমেছে অর্থনৈতিক কার্যক্রম। দেশটিতে ঝুঁকি বাড়ছে মন্দার।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা মঙ্গলবার বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের কারণে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এখন বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য সমস্যা তো রয়েছেই।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম