মালদ্বীপ

শপথ নেওয়ার পরপরই ভারতীয় সেনাদের বের করে দিতে চান মুইজ্জু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৫ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
মালদ্বীপের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু /ছবি: সংগৃহীত

মালদ্বীপের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু তার ইশতেহারে বলেছিলেন, আমি জয়ী হলে মালদ্বীপে মোতায়েন করা ভারতীয় সেনাদের বের করে দেবো ও দেশকে ভারতের প্রভাব থেকে মুক্ত করবো। এবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে আরও দৃড় মনোভাব প্রকাশ করেছেন তিনি।

বিবিসিকে মুইজ্জু বলেন, আমরা চাই না মালদ্বীপের মাটিতে কোনো বিদেশি সেনা পা রাখুক। দেশের জনগণকে আমি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবো। আগামী নভেম্বর মাসের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন মুইজ্জু।

আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট ‌‘ভারতবিরোধী’ মোহামেদ মুইজ্জু

তিনি আরও জানান বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই মালদ্বীপে অবস্থানরত ভারতীয় সেনাদের প্রত্যাহার করে নিতে নয়াদিল্লিকে অনুরোধ করবেন। বিবিসি বলছে, ভারতের জন্য এমন বার্তা নিশ্চয় অস্বস্তিকর। মুইজ্জুর এ সিদ্ধান্তের কারণে মালে ও নয়াদিল্লির সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিতে পারে।

বিবিসির সাক্ষাৎকারে মোহামেদ মুইজ্জু জানান, নির্বাচনে জয়লাভের দুই-চার দিন পরই তিনি মালেতে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার মুনু মাহাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সেসময় তিনি ভারতীয় হাই কমিশনারকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, মালদ্বীপ থেকে সব ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: প্রযুক্তিতে চীনকে টেক্কা দিতে চায় হায়দরাবাদের টি-ওয়ার্কস

গত ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ‘চীনপন্থি’ মোহামেদ মুইজ্জু। তিনি জয়লাভের পর থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে ভারত-মালদ্বীপের সম্পর্ক অন্যদিকে মোড় নিতে পারে। অনেকে আবার বলছেন, মুইজ্জু সরকারের সঙ্গে ভারতের বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক মালদ্বীপের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

দীর্ঘদিন ভারতের প্রভাব বলয়ের অধীনে রয়েছে মালদ্বীপ। বর্তমানে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহ, যাকে ভারতপন্থি বলে দাবি করা হয়। ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মালদ্বীপকে তিনি নয়াদিল্লির খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু বানিয়ে ফেলেন। অনেকে বলেন, সোলিহ’র নীতিই ছিল- ইন্ডিয়া-ফার্স্ট।

আরও পড়ুন: কানাডীয়দের ভিসা সেবা চালু করতে যে শর্ত দিয়েছে ভারত

অন্যদিকে, ৪৫ বছর বয়সী মুইজ্জুর রাজনৈতিক দল পিপিএম নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। এসময় চীনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে মালদ্বীপ।

ভারত মহাসাগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পর্যবেক্ষণের জন্য কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক জায়গায় অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নিজেদের প্রভাব বলয়ে রাখতে চায় ভারত। এজন্য দেশটিকে প্রায় ২০০ কোটি ডলারের উন্নয়ন সহায়তাও দিয়েছে নয়াদিল্লি। এখন যদি সেখান থেকে ভারতীয় সৈন্যদের চলে যেতে বাধ্য করা হয়, তবে তা হবে মোদী সরকারের জন্য বড় একটি ধাক্কা।

সূত্র: বিবিসি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।