গাজায় ইসরায়েলের হামলায় সাড়ে চার হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০০ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে চার হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত চার হাজার ৬৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের মধ্যে এক হাজার ৮৭৩ জনই শিশু। এছাড়া আরও এক হাজার ১০১ জন নারী এবং এক হাজার ৬৭৭ জন পুরুষ নিহত হয়েছে।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক তৎপরতা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে যে, নিহতদের মধ্যে ৮৩৯ জনই গাজার দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দা। এর আগে উত্তরাঞ্চলের লোকজনকে দক্ষিণাঞ্চলে পালাতে বলা হয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় আরও ১৪ হাজার ২৪৫ জন আহত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই ফিলিস্তিনে ক্রমাগত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ হাজার ১৩২ জন।

এদিকে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজার হাসপাতালগুলোতে ইনকিউবেটরে থাকা অন্তত ১২০ নবজাতকের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ। সংস্থাটির মুখপাত্র জোনাথন ক্রিকক্স বলেছেন, বর্তমানে ইনকিউবেটরে ১২০ জন নবজাতক রয়েছে, এদের মধ্যে ৭০ নবজাতকের যান্ত্রিক শ্বাসযন্ত্র প্রয়োজন। আমরা এ বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।

আরও পড়ুন: যুদ্ধ কয়েক মাস স্থায়ী হতে পারে: ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

অপরদিকে এই যুদ্ধ আরও কয়েক মাস স্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওভ গ্যালান্ট। ইওভ গ্যালান্ট বলেন, হামাসের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ চলছে তা আরও কয়েক মাস ধরে চলতে পারে।

তিনি বলেন, এই যুদ্ধ একমাস, দুই মাস বা তিন মাস ধরেও চলতে পারে। কিন্তু যুদ্ধ শেষে হামাসের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। একটি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এই হুঁশিয়ারি দেন।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।