সহজে শনাক্তের জন্য শিশুদের পায়ে নাম লিখে রাখছেন গাজার মা-বাবা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৬ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২৩

ফিলিস্তিনের স্বাধানতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাতে উভয়পক্ষের ৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১ হাজার ৭’শর বেশি শিশু রয়েছে। চলমান যুদ্ধে হাসপাতালে প্রতিদিন শত শত লাশ মর্গে আনা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজের সন্তান নিহত হলে সহজে লাশ শনাক্তের জন্য অনেক মা-বাবা শিশুর পায়ে নাম লিখে রাখছেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: লেবানন সীমান্ত থেকে লোকজন সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল
রোববার (২২ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটির একটি ভিডিও চিত্র অনুসারে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার অনেক অভিভাবক ইসরায়েলি হামলায় নিহত শিশুর লাশ সহজে শনাক্ত করার জন্য আগে থেকেই সন্তানের পায়ে নাম লিখে রাখছেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ভিডিওগুলো মধ্য গাজার দেইর আল বালাহ শহরের আল আকসা শহীদ হাসপাতালের। ওই এলাকায় শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতভর বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে তদন্তের দাবি আয়ারল্যান্ডের
ভিডিওতে দেখা যায়, হামলায় নিহত চার শিশুর পায়ে আরবি ভাষায় তাদের নাম লেখা রয়েছে। নিহত চারজনের লাশ একটি মর্গে রয়েছে। হামলায় তাদের মা-বাবা নিহত হয়েছেন কিনা জানা যায়নি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
সিএনএনের সাংবাদিকরা বলেছেন, বর্তমানে গাজার শিশুদের পায়ে নাম লেখার বিষয়টি সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের বিমান হামলার পর গাজার বেশ কয়েকটি হাসপাতালে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা গেছে। রোগীদের হাসপাতালে আগমন ও মর্গে উপচে পড়া ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: গাজায় মৃত্যুর মুখে ইনকিউবেটরে থাকা ১২০ নবজাতক
এদিকে, জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ জানিয়েছে, জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজার হাসপাতালগুলোতে ইনকিউবেটরে থাকা অন্তত ১২০ নবজাতকের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইউনিসেফের মুখপাত্র জোনাথন ক্রিকক্স বলেন, বর্তমানে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালের ইনকিউবেটরে ১২০টি নবজাতক রয়েছে, এদের মধ্যে ৭০ নবজাতকের যান্ত্রিক শ্বাসযন্ত্র প্রয়োজন। আমরা বিষয়টি নিয় খুবই উদ্বিগ্ন।
বিজ্ঞাপন
সূত্র: সিএনএন
এসএএইচ