গাজায় মৃত্যুর মুখে ইনকিউবেটরে থাকা ১২০ নবজাতক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:২৫ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২৩
জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজার হাসপাতালগুলোতে ইনকিউবেটরে থাকা অন্তত ১২০ নবজাতকের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ। সংস্থাটির মুখপাত্র জোনাথন ক্রিকক্স বলেছেন, বর্তমানে ইনকিউবেটরে ১২০ জন নবজাতক রয়েছে, এদের মধ্যে ৭০ নবজাতকের যান্ত্রিক শ্বাসযন্ত্র প্রয়োজন। আমরা এ বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় ইতোমধ্যে ১ হাজার ৭শ’র বেশি শিশু নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৫ মসজিদ ধ্বংস
এদিকে, গত ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় মোট ৪ হাজার ৬৫১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া অবরুদ্ধ পশ্চীম তীরে নিহত হয়েছেন ৯০ জন। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪০০।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় ইসরাইলে ১ হাজার ৪০৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ হাজার ১৩২ জন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে গাজার আল- আল-আহলি হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা চালায় ইসরায়েল। তাতে প্রায় ৫০০ মানুষ নিহত হয়। আহত হয় আরও বহু মানুষ। এছাড়া বহু মানুষ হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের এক রাতের অভিযানেই নিহত ৫৫: হামাস
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সম্ভাব্য হামলার আগে গাজার আল-কুদস হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির এ ধরনের অমানবিক নির্দেশকে রোগীদের জন্য ‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ’ বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আল-কুদস হাসপাতালসহ পাঁচটি স্কুল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের দাবি, ইসরায়েলি বাহিনীর এই নির্দেশের পর আল-কুদসসহ মোট ২৪টি হাসপাতাল বোমা হামলার হুমকির মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ১৩
এর আগে শুক্রবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, হামাস সামরিক অভিযানের সময় বেসামরিক সুবিধা ব্যবহার করে। গাজা উপত্যকার বেসামরিক মানুষদের হামাস মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বলেও আইডিএফ জানিয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ