চীনের কড়াকড়িতে ড্রোন সংকটে ইউক্রেন, প্রভাব পড়বে যুদ্ধে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বড় ভূমিকা পালন করছে ড্রোন। শত্রুদের মোকাবিলায় দুপক্ষই এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। তার ফলে রণাঙ্গনে উভয়পক্ষই বিপুল সংখ্যক ড্রোন হারাচ্ছে। এ অবস্থায় ড্রোন রপ্তানিতে চীনের কঠোর বিধিনিষেধের কারণে যুদ্ধরত দুই দেশেই সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে ইউক্রেনে।
লন্ডন-ভিত্তিক থিংক ট্যাংক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (রুসি) মতে, ইউক্রেন প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার ড্রোন হারাচ্ছে।
আরও পড়ুন>> ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে রাশিয়ার লাভ, দুশ্চিন্তায় ইউক্রেন
যুদ্ধে ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করছে রাশিয়া আর ইউক্রেন ব্যবহার করছে তুরস্কের তৈরি বায়রাক্টার ড্রোন। এ ধরনের সামরিক ড্রোনের পাশাপাশি বিশেষায়িত বাণিজ্যিক ড্রোনও ব্যবহার করছে তারা।
গত ১ সেপ্টেম্বর ড্রোন রপ্তানিতে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চীনা সরকার। চার কেজির বেশি ওজনের দূরপাল্লার ড্রোনের পাশাপাশি ড্রোন-সম্পর্কিত সরঞ্জাম; যেমন- ক্যামেরা, রেডিও মডিউলগুলো রপ্তানিতেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে বেইজিং।
আরও পড়ুন>> ইসরায়েলের জন্য ‘দরদ’ দেখায়নি চীন, হতাশ যুক্তরাষ্ট্র
এ ধরনের সরঞ্জামের চীনা উৎপাদকদের এখন রপ্তানি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে এবং সর্বশেষ ব্যবহারকারীর শংসাপত্র প্রদান করতে হবে। এ ব্যাপারে বেইজিংয়ের কঠোর নির্দেশনা, বাণিজ্যিক চীনা ড্রোনগুলো কোনোভাবেই সামরিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
ইউক্রেনীয় স্বেচ্ছাসেবক এবং সৈন্যরা বলছেন, চীনের সাম্প্রতিক বিধিনিষেধ তাদের ড্রোনের প্রাপ্যতার ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে; বিশেষ করে, চীনা কোম্পানি ডিজেআইর তৈরি সর্বত্রচারী হালকা ওজনের ম্যাভিক্স ড্রোনে।
আরও পড়ুন>> ইসরায়েলের জন্য মন কাঁদছে জেলেনস্কির
তারা বলেছেন, ড্রোন যন্ত্রাংশ সরবরাহও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ইউক্রেনীয়রা।
ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীতে ড্রোন সরবরাহকারী সংগঠন ডিগনিটাসের প্রধান লিউবা শ্যাপোভিচ বলেন, আপাতত ইউরোপীয় গুদামগুলোতে যা কিছু অবশিষ্ট রয়েছে, তা আমরা আরও বেশি করে কিনছি। তবে ভবিষ্যতে কী করবো, তা স্পষ্ট নয়।
থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরার মতো যন্ত্রাংশগুলোর প্রাপ্যতা নিয়েও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ইউক্রেনের এই স্বেচ্ছাসেবী।
আরও পড়ুন>> হামাসের সঙ্গে রাশিয়ার তুলনা করলেন জেলেনস্কি
কাস্তুস কালিনোস্কি রেজিমেন্টের একজন জ্যেষ্ঠ ড্রোন অপারেটর বলেন, প্রভাব অনুভূত হচ্ছে। চীনের লাইসেন্স বাধ্যবাধকতা ইউক্রেনের ড্রোন যন্ত্রাংশ পাওয়ার সুযোগ সীমিত করে দিয়েছে। আমরা এর বিকল্প খুঁজছি।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/