ছবি ভাইরাল

খালি গায়ে মিটিং করছেন অফিসের বস, নিচ্ছেন ম্যাসাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৯ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

অফিসের মিটিং চলাকালে খালি গায়ে চেয়ারে বসে রয়েছেন বস, আর তার শরীর ম্যাসাজ করে দিচ্ছেন এক নারী- এমন একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গেছে, চেয়ারে বসে থাকা ব্যক্তিটি মালয়েশীয় এয়ারলাইন কোম্পানি এয়ারএশিয়ার প্রধান নির্বাহী (সিইও) টনি ফার্নান্দেস।

তার এভাবে খালি গায়ে সহকর্মীদের সঙ্গে মিটিং করা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই এয়ারএশিয়া সিইওর আচরণকে ‘অনুপযুক্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন।

আরও পড়ুন>> ‘অসহিষ্ণু’ বস: তিন দিনেই চাকরি ছাড়তে বাধ্য হলেন তরুণী

সম্প্রতি লিংকডইনে নিজেই ছবিটি শেয়ার করেছিলেন টনি। ওই পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, একটা চাপযুক্ত সপ্তাহ ছিল এবং ভেরানিটা ইয়োসেফাইন (ইন্দোনেশিয়া এয়ারএশিয়ার সিইও) আমাকে ম্যাসাজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ইন্দোনেশিয়া এবং এয়ারএশিয়ার এই সংস্কৃতি ভালো লেগেছে যে, আমি ম্যানেজমেন্ট মিটিংয়ের মধ্যে ম্যাসাজও নিতে পারি।

মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় তার এই পোস্ট। সেখানে মন্তব্য করেন বহু মানুষ, যার বেশিরভাগই ছিল নেতিবাচক।

আরও পড়ুন>> বেতনের খাতায় স্ত্রীর নাম ঢুকিয়ে অফিসের ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ

এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ, যিনি পুঁজিবাজারে নথিভুক্ত একটি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, তিনি খালি গায়ে ম্যাসাজ নিতে নিতে মিটিং করছেন। কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, এই অংশটুকু বাদ দিলেও এমন আচরণ যথাযথ নয়।

আরেকজন লিখেছেন, আমি ধরে নিচ্ছি, দীর্ঘ কর্মদিবসের পরে ওই মিটিং হয়েছিল এবং অফিসের বেশিরভাগই খালি ছিল। কিন্তু তারপরও, অন্তত ছবি তোলার জন্য একটা শার্ট গায়ে দিয়ে নিতে পারতেন।

তৃতীয় এক ব্যক্তি বিশ্বাসই করতে পারছেন না, টনি ফার্নান্দেস নিজে এই পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, আমার মনে হয় কেউ তার আইডি হ্যাক করে এটি লিখেছে।

আরও পড়ুন>> বাড়িভাড়া বাঁচাতে প্লেনে চড়ে অফিসে যাতায়াত!

চতুর্থ এক ব্যক্তি লিখেছেন, টনি যখন বললেন, এয়ার এশিয়ার সংস্কৃতি খোলামেলা, তখন বুঝতে পারিনি যে এতটা খোলামেলা হবে।

সূত্র: এনডিটিভি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।