পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা
‘কয়েক ঘণ্টার মধ্যে’ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে ইরান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩৫ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
‘আসন্ন কয়েক ঘণ্টার মধ্য’ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। তিনি বলেছেন, ‘গাজায় ইহুদিবাদী শাসকদের (ইসরায়েল) যা ইচ্ছা তা-ই করতে দেবে না’ ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাতে রাষ্ট্রীয় টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, (ইসরায়েলের বিরুদ্ধে) আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রতিরোধ শক্তিগুলো অগ্রিম পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন>> ইরান-হিজবুল্লাহর হুমকি/ ইসরায়েল পাহারা দিতে যাচ্ছে ২০০০ মার্কিন সেনা
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ইরান অংশ নেবে কি না জানতে চাইলে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ‘সব সম্ভাবনাই অনুমেয়।’ ‘গাজায় সংঘটিত অপরাধের ব্যাপারে কোনো পক্ষেরই উদাসীন হওয়া উচিত নয়’ বলে মন্তব্য করেন ইরানের শীর্ষ এই কূটনীতিক।
তিনি বলেন, আজ যদি আমরা গাজা রক্ষা না করি, তাহলে আগামীকাল আমাদের শহরেই (ইসরায়েলি) বোমা হামলা আটকাতে হবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান-সমর্থিত ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। তাদের হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৩০০ জন। হামলার সময় প্রায় দুইশ ইসরায়েলিকে অপহরণ করেছেন হামাস যোদ্ধারা।
আরও পড়ুন>> হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে, পশ্চিমা চাপে নত হবে না মালয়েশিয়া
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর এই হামলার মুখে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হামাসকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার নামে গাজায় হামলা চালিয়ে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৮০০ জনের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে বিদ্যুৎ, পানি, খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এর ফলে মানবেতর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এলাকাটিতে।
আরও পড়ুন>> ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হিজবুল্লাহর হামলা, হতাহত ৪
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এর আগে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, চলমান সংঘাতে ‘রাজনৈতিক সমাধানের জন্য সময় ফুরিয়ে আসছে’।
তিনি মালয়েশিয়া, পাকিস্তান এবং তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বলেছেন, ইসরায়েলের ‘অন্যান্য প্রান্তে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া অনিবার্য হয়ে উঠছে’।
সূত্র: আল-অ্যারাবিয়া, আল-জাজিরা
কেএএ/