প্রতি মিনিটে একজন রোগী আসছে গাজার হাসপাতালে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৪৪ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের হামলায় গাজার মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। বর্তমানে গাজার হাসপাতালগুলোতে প্রতি মিনিটে একজন করে আহত রোগী আসছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় জানিয়েছে, গাজার হাসপাতালগুলোতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার জ্বালানি রয়েছে। খান ইউনিস এলাকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল ‘নাসের’ এ মিনিটে মিনিটে আহতদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আসছে। হাসপাতালগুলোতে কোনো বিছানা খালি নেই। বাইরে টানানো হয়েছে অস্থায়ী তাঁবু। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে খাবার-পানি ও বিদ্যুতের সংকট।

নাসের হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ কানদিল জানান, স্রোতের বেগে রোগী আসছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বিছানা বেড নেই। প্রতি মিনিটে একজন করে রোগী আসছে। এছাড়া তেল দিয়ে চালানো জেনারেটরও বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

jagonews24

এক ভিডিওবার্তায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেইর আল বালাহের আল-আকসা শহিদ হাসপাতালের ফরেনসিক প্যাথলজিস্ট ইয়াসির খাতাব বলেন, হাসপাতালে এত পরিমাণ লাশ আসছে যে এগুলো রাখার জায়গা হচ্ছে না। অনেক লাশ হাসপাতালেই পড়ে থাকছে।

তিনি আরও বলেন, গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো দরকার। মর্গের রেফ্রিজারেটর, চিকিৎসা সরঞ্জামের পাশাপাশি কফিন ও মরদেহ দাফনের সরঞ্জাম প্রয়োজন।

গত ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। পরে তারা ইসরায়েলে ঢুকে আক্রমণ শুরু করে। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ৩০০ জন নিহত হয়েছে।

ওই হামলার পরপরই হামাসকে নির্মূলের শপথ নিয়ে গাজায় পাল্টা বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। এমনকি, সেখানে খাবার, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চরম সংকটে পড়েছে গাজার হাসপাতালগুলো।

ইসরায়েলের টানা আট দিনের বিমান হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

সূত্র: আল জাজিরা

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।