ইসরায়েলে সফরের কথা ভাবছেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩৮ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

ইসরায়েল-হামাসের সংঘাতকে কেন্দ্র করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলে সফরের কথা ভাবছেন। বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। তবে কবে নাগাদ তিনি ইসরায়েলে সফরে যাবেন সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা এপিকে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি এবং তারা সম্ভাব্য সফর ভ্রমণ সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ যে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারেন না।

আরও পড়ুন: গাজায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ৫০ হাজার অন্তঃসত্ত্বা, কী ঘটবে জানা নেই

প্রেসিডেন্ট বাইডেন যদি ইসরায়েলে সফর করেন তবে তা দেশটির প্রতি সমর্থনের আরও শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে। যদিও বাইডেন দুপক্ষকেই সংযমের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তিনি এর আগে সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ইসরায়েল গাজা দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করলে সেটি ‘মস্ত বড় ভুল’ হবে।

গাজায় বড় ধরনের স্থল অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে ইসরায়েল। এর মাধ্যমে উপত্যকার একটি বড় অংশ আবারও দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।

তবে সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ইসরায়েল যুদ্ধের নিয়ম মেনে চলবে। এসময় গাজায় খাদ্য-পানিসহ ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো এবং বিপদগ্রস্ত বাসিন্দাদের উপত্যকা থেকে বের হওয়ার সুযোগ করে দিতে একটি মানবিক করিডোর চালুকে সমর্থন করেন বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন না, হামাস ‘সব ফিলিস্তিনি জনগণের’ প্রতিনিধিত্ব করে এবং তিনি এই গোষ্ঠীটিকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল দেখতে চান।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, হামাসকে অবশ্যই নির্মূল করতে হবে এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পথ তৈরি করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিবিএস টেলিভিশনের ৬০ মিনিটস অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইরান ও হিজবুল্লাহকে সংঘাত না বাড়ানোর বিষয়ে সতর্ক করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: গাজা দখল ‘মস্ত বড় ভুল’ হবে, ইসরায়েলকে বাইডেনের সতর্কতা

তিনি এখনও জীবিত মার্কিন জিম্মিদের খুঁজে বের করতে এবং তাদের মুক্ত করতে যা কিছু করা দরকার তা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন। আহত প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ।

আর গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৭০ জনে। এর মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশই শিশু। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১০ হাজার মানুষ। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে অন্তত ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।