সংঘাতের মধ্যেই ইসরায়েলে পা রেখেছেন ব্লিঙ্কেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৩ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

তীব্র সংঘাতের মধ্যেই ইসরায়েলে পা রেখেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এই স্বল্প সময়ের সফরে তিনি ইসরায়েলি কর্মকর্তা এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে। খবর বিবিসির।

পশ্চিম তীরের নিয়ন্ত্রণ মূলত মাহমুদ আব্বাসের প্রশাসনের হাতেই এবং গাজা উপত্যকায় তারা স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই পরিচিত।

আরও পড়ুন: হামাসের হামলার তিনদিন আগেই ইসরায়েলকে সতর্ক করেছিল মিশর?

মূলত ইসরায়েলের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতেই তিনি এ সফর করছেন। ইসরায়েলের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আমি খুবই সহজ এবং পরিষ্কার বার্তা দিতে চাই যে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে আছে।

হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাতে শুরু থেকেই তেল আবিবকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে সহায়তা করতে একদিন আগেই ইসরায়েলে বিভিন্ন ধরনের সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম বহনকারী প্রথম বিমানটি সম্প্রতি দক্ষিণ ইসরায়েলের নেভাটিম বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধের সময়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দুদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড স্ট্রাইক গ্রুপও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।

গত শনিবার ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১২০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় গাজার হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপে হিমসিম অবস্থা। এদিকে বুধবার (১১ অক্টোবর) জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র। এর ফলে অন্ধকারে ডুবে গেছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত এলাকাটি। স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে বাসিন্দারা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হওয়ার চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পান। এর এক ঘণ্টা পরেই অন্ধকার হয়ে যায় সবকিছু।

আরও পড়ুন: গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ১২০০

বিদ্যুৎ না থাকায় গাজার হাসপাতালগুলোকে এখন কেবল জেনারেটরের ওপর ভরসা করে চলতে হবে। সেটাও চালানো যাবে আর বড়জোর দুই থেকে চারদিন। এরপর শেষ হয়ে যাবে সব জ্বালানি। বিদ্যুৎ না থাকা অর্থ, উপত্যকায় পানি সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বহুতল ভবনগুলোতে আর কাজ করবে না লিফট। ফলে পুরোপুরি অন্ধকারে কাটাতে হবে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দাকে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।