সিকিমে ঘুরতে যাওয়া বন্ধ, চাপ বাড়বে দার্জিলিং-কালিম্পঙে
আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরেই শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভসূচনা। এ উপলক্ষে গোটা পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পূজার সময় এই লম্বা ছুটিতে সাধারণ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি। এবারও অনেকেই সিকিম বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু সেটি এখন অনিশ্চিত। কিন্তু পর্যটন শহরের বিধ্বস্ত পরিস্থিতি দেখে অনেকেই বাতিল করে দিয়েছেন সিকিম ভ্রমণের পরিকল্পনা।
পূজার আগে ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হরপা বানে বিপর্যস্ত সিকিম। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে সিকিম সরকার।
সিকিমের প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক পাহাড়ি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হয়তো সেখানেই পরিবার নিয়ে পূজার ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল অনেকের।
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশি পর্যটক কমে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় কলকাতার ব্যবসায়ীরা
এই পরিস্থিতিতে সিকিম সরকার আগেই ঘোষণা দিয়েছে, আপাতত যেন কোনো পর্যটক সেখানে না যায়। সিকিমকে গোছাতে আর কয়েকদিন সময় লাগবে তাদের।
সেক্ষেত্রে এবার পূজার ছুটিতে পাহাড়ি অঞ্চলে ঘুরতে আগ্রহী পর্যটকদের ভরসা হয়ে উঠতে পারে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পং। এরই মধ্যে রাজ্যের পর্যটন দপ্তর থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে, যেন পর্যটকরা দার্জিলিং ও কালিম্পং বেড়াতে গিয়ে কোন সমস্যায় না পড়েন।
আরও পড়ুন>> প্রশান্তির খোঁজ দেবে পাহাড়ি গ্রাম লিংসে
আর এই বাড়তি চাপের ফলে পূজায় একটু বাড়তি লাভের আশায় দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের ব্যবসায়ীদের মধ্যেও খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
শৈল শহরের রাজা ও রানি নামে পরিচিত দার্জিলিং ও কালিম্পং। ছোট বড় মিলিয়ে বেড়ানোর জন্য প্রায় ১৭টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে দার্জিলিংয়ে। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত রেলওয়ে স্টেশন এখানে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়া থেকে অপূর্ব সুন্দর সূর্যোদয় দেখা যায়।
এছাড়াও পৃথিবীর বিখ্যাত ঘুম মোনাস্ট্রি, দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানা, মেঘে ঢাকা পাহাড়ের কোলে ছোট ছোট গ্রাম- হাতে গুনে শেষ করা যাবে না কত স্থানে ঘুরবেন আপনি।
আরও পড়ুন>> তিন হাজার রুপি থাকলেই ঘুরে আসতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের যে সৈকতে
দার্জিলিংয়ে পাশাপাশি কালিম্পংয়ের মনোরম শীতল পরিবেশ আপনার মনকে প্রশান্তিতে ভরিয়ে তুলবে। তবে বেড়াতে যাওয়ার আগে স্থানীয় হোটেলে অগ্রিম বুকিং করে আসাই ভালো। নাহলে বাড়তি চাপের ফলে রুম না পাওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
ডিডি/কেএএ