ইসরায়েলে নিত্যপণ্যের ঘাটতি, কেনার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০১ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২৩

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে। এই যুদ্ধ দীর্ঘ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য মজুত শুরু করেছে ইরায়েলিরা। কিছু পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। তাই পণ্য কেনার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সুপারমার্কেট চেইন শুফারসাল।

বলা হয়েছে, ক্রেতারা শুফারসাল স্টোরগুলো থেকে দেড় লিটার পানির বোতলের ছয় প্যাকের দুটি, ৩০টি ডিমের একটি র‌্যাক বা ১২টি ডিমের দুই কার্টন ও মূল্য-নিয়ন্ত্রিত দুধের তিনটি ইউনিট এবং দুটি রুটি কিনতে পারবে।

এর আগে দেশটির হোম ফ্রন্ট কমান্ড কমপক্ষে তিনদিনের পানি, খাদ্য ও অন্যান্য সরবরাহ মজুত রাখার সুপারিশ করে। এরপর সুপারমার্কেটগুলোতে ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। এরই মধ্যে সুপার মার্কেটগুলোর তাক খালি হয়ে গেছে।

শুফারসালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উরি ওয়াটারম্যান বলেন, গ্রাহকদের প্রতি দায়বব্ধতা, ব্যাপক চাহিদা, সরবরাহ সমস্যা ও পণ্যের ঘাটতির কারণে আমরা পণ্য কেনার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছি। বিশেষ করে পানি, ডিম, রুটি ও দুধে। তবে সমস্যার সমাধানে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। তাছাড়া ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এ সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলসহ বিদেশে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তির জন্য গাজায় জিম্মি করে রাখা ব্যক্তিদের ব্যবহার করবে। আসোসিয়েট প্রেসের (এপি) সঙ্গে কথা বলার সময় হামাসের নির্বাসিত নেতা আলী বারাকেহ এমন দাবি করেন।

গাজায় হামাসের হাতে বন্দি ১০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির ভাগ্য নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ার মুহূর্তেই এমন মন্তব্য করলেন বারাকেহ। তিনি আরও বলেন, হামাসের কাছে বিপুল পরিমাণ রকেটের সংগ্রহ রয়েছে, যা দিয়ে লম্বা সময়ের জন্য যুদ্ধ চালানো যাবে। আমরা এই যুদ্ধের জন্য ও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত।

এমএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।