বন্দিবিনিময়ে কাতারের মধ্যস্থতার কথা অস্বীকার করলো ইসরায়েল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৬ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০২৩
ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৩৬ ফিলিস্তিনি নারীর মুক্তির বিনিময়ে হামাসের ধরে নিয়ে যাওয়া ইসরায়েলের নারী-শিশুদের মুক্তির বিষয়ে কাতারের মধ্যস্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তির জন্য কোনো আলোচনা করা হয়নি।
এর আগে শোনা যায়, জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের ছেড়ে দেওয়ার বিপরীতে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি সব ফিলিস্তিনি নারীর মুক্তি দাবি করেছে হামাস। এ বিষয়ে মধ্যস্থতার দায়িত্ব নিয়েছে কাতার। হামাস সূত্রের বরাতে রোববার (৮ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছিল চীনা সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া।
শিনহুয়ার দাবি, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক হামাস সদস্য বলেছিলেন, তাদের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের সঙ্গে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনি নারীদের বিনিময়ের বিষয়ে সমঝোতার চেষ্টা করছে কাতার। এতে যুক্তরাষ্ট্রেরও সমর্থন রয়েছে। ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৩৬ ফিলিস্তিনি নারীকে মুক্তি দেওয়া হলে বন্দি বিনিময়ে রাজি হবে হামাস।
এর আগে, গত শনিবার আচমকা ইসরায়েল আক্রমণ করে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। সেদিন ভোরে গাজা থেকে ইসরায়েলে কয়েক হাজার রকেট ছোড়ে তারা। একই সময় সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে পড়ে শত শত সশস্ত্র যোদ্ধা। হামাসের এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই হাজারের বেশি।
এসময় ইসরায়েলের বেশ কিছু সেনা কর্মকর্তা ও বেসামরিক নাগরিককে অপহরণ করে গাজা উপত্যকায় নিয়ে গেছেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। বিষয়টি স্বীকার করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। তবে কতজনকে জিম্মি করা হয়েছে, সেটি বলেনি তারা।
কিন্তু, হামাস অন্তত ১০০ জন ইসরায়েলি নাগরিককে অপহরণ করেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সের এক পোস্টে তারা জানিয়েছে, হামাস ১০০ ইসরায়েলিকে অপহরণ করেছে, যাদের মধ্যে সামরিক-বেসামরিক উভয় ধরনের নাগরিকই রয়েছেন।
হামাসের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের পক্ষ থেকেও ৩০ ইসরায়েলিকে অপহরণের কথা জানানো হয়েছে।
সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরায়েল
এসএএইচ