যেভাবে এত অস্ত্র জোগাড় করেছে হামাস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৩ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০২৩
কয়েক হাজার রকেট লঞ্চারসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে ইসরায়েলের মাটিতে হামলা করেছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। জবাবে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলও। বাংলাদেশ সময় রোববার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত হামাসের হামলায় ৪৪ সেনাসহ ছয় শতাধিক ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৩১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, হামাস যোদ্ধাদের আকস্মিক হামলায় তাজ্জব বনে গেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। কারণ, বিশ্বের সবচেয়ে চৌকস গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে দেশটির। অথচ হামাসের হামলা সম্পর্কে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা আগে থেকে কোনো ধারণাই পায়নি। তাছাড়া সবার নজর এড়িয়ে হামাস যোদ্ধারা কীভাবে বিপুলসংখ্যক অস্ত্র জোগাড় করেছে, সেটাও অন্যতম বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, হামাসসহ ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র হলো রকেট লঞ্চার। কারণ, এই অস্ত্রটির দাম তুলনামূলক কম ও এর মাধ্যমে নিরাপদ অবস্থান থেকে দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো যায়। ২০১৪ সালেও ইসরায়েলের সঙ্গে হওয়া যুদ্ধে সাড়ে চার হাজারের বেশি রকেট ছুড়েছিল হামাস।
২০০৫ সালে ইরান-সিরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র পেতে একাধিক সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে একটি গোপন সরবরাহ লাইন তৈরি করতে সক্ষম হয় হামাস। এই লাইনের মাধ্যমে মূলত তারা ইরান ও সিরিয়া থেকে রকেট লঞ্চারের চালান নিয়ে আসত সংগঠনটি। এই গোপন সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কটি গাজার সঙ্গে মিসরের সীমান্ত এলাকায় স্থাপন করা হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সুড়ঙ্গগুলোর বিষয়ে বহুদিন কিছুই জানতেই পারেনি। তবে ২০০৭ সালে ইসরায়েলি বাহিনী ইরানে নির্মিত ফজর-৫ রকেট লাঞ্চারের একটি বিশাল চালান আটক করে। হামাসের যোদ্ধাদের জন্যই ওই চালানটি ফিলিস্তিনে যাচ্ছিল।
এদিকে, কো-অপারেশন অব ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ব্রডকাস্ট বলছে, ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের কড়া নজরদারির মধ্যেও জাহাজ থেকে উপকূলে চোরাচালান ও কালোবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ রকেট লঞ্চার সংগ্রহ করে হামাস। ঐতিহাসিকভাবেই হামাসের কাছে অস্ত্র পৌঁছানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট ছিল সমুদ্রপথ। এই পথে পাচারকারীরা প্রায় সময়ই হামাসের জন্য অস্ত্রভর্তি বক্স গাজার উপকূলে রেখে যেত।
কো-অপারেশন অব ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ব্রডকাস্ট আরও বলছে, ইরান ও সিরিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও, কালোবাজার ও বিদেশি আরও কয়েকটি উৎস থেকে ফজর-৩, ফজর-৫সহ এম-৩০২ রকেটের মতো বিভিন্ন অস্ত্র সংগ্রহ করেছেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।
সূত্র: ইয়ন
এসএএইচ