ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনাকারী সাংবাদিকের সাড়ে ৮ বছরের কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২৬ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৩
ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনাকারী রুশ সাংবাদিক মারিনা ওভস্যানিকোভা/ ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করায় সাবেক সাংবাদিক মারিনা ওভস্যানিকোভাকে সাড়ে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে রাশিয়া। বুধবার (৪ অক্টোবর) মস্কোর একটি আদালত তার বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করে। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই সাংবাদিক রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে কাজ করতেন।

বার্তা সংস্থা এপি বলছে, ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর থেকে রুশ কর্তৃপক্ষ ভিন্নমতের মানুষের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন বাড়িয়েছে ও মারিনাকে দেওয়া কারাদণ্ড সেই দমনপীড়নের সর্বসাম্প্রতিক উদাহরণ।

এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মারিনা ওভস্যানিকোভাকে রুশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল। মূলত ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর পরপরই রাশিয়ায় একটি আইন গৃহীত হয়। ওই আইনের অধীনে রুশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো একটি ফৌজদারি অপরাধ।

jagonews24

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর জুলাই মাসে রাশিয়ার রাজধানীতে একটি পোস্টার হাতে নিয়ে দাঁড়ান মারিনা ওভস্যানিকোভা। সেখানে লেখা ছিল, পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) একজন খুনি ও তার সৈন্যরা ফ্যাসিস্ট। ইউক্রেনে ৩৫২ জন শিশু নিহত হয়েছে। তোমাকে (পুতিন) থামাতে আর কত শিশুকে মরতে হবে?

তার ওই প্রতিবাদের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে মারিনাকে রুশ সামরিক বাহিনীকে অপমান করার জন্য অভিযুক্ত করা হয় ও ৩০ হাজার রুবল জরিমানা করা হয়। পরে এক টেলিভিশন লাইভ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া যা করছে সেটা অপরাধ।

ওভস্যানিকোভা ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ওয়ানে’ কাজ করতেন। যুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান করার পর তাকে আটক করা হয় ও পরে গৃহবন্দি করা হয়। কিন্তু গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় নিজের মেয়েকে নিয়ে ফ্রান্সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন ওভস্যানিকোভা। এরপরও রুশ কর্তৃপক্ষ তাকে ওয়ান্টেড তালিকায় রেখেছে ও তার অনুপস্থিতিতেই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।

সূত্র: এপি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।