আরও বেশি পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে সংবিধানে পরিবর্তন আনলো উ. কোরিয়া
নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে উত্তর কোরিয়া। আর এর জন্য সংবিধানে সংশোধন এনেছে দেশটি, যেখানে দেশরক্ষায় পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এসব তথ্য জানায় ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সাংবিধানিক এ স্বীকৃতি যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিজেদের আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠতে আগ্রহী করে তুলবে। তাছাড়া পশ্চিমা হুমকি মোকাবিলায় কিম জং উনের দেশ আরও বেশি সংখ্যক আধুনিক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে তৎপর হবে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানের সংশোধনীতে অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে উন্নত মানের পারমাণবিক অস্ত্র বানানো যাবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এ ধরনের অস্ত্র পিয়ংইয়ংকে যুদ্ধ ও বহির্বিশ্বের হুমকি থেকে রক্ষা করবে।
দেশটির নেতা কিম জং উন দেশটির পার্লামেন্টে বলেছেন, সংবিধানের এ সংশোধনীর মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া একটি স্থায়ী পারমাণবিক নীতি পেয়ে গেছে। এটি এখন দেশের আইনে পরিণত হয়েছে। ফলে কেউ আর এটি ভঙ্গ করা কিংবা এর প্রতি অবজ্ঞা দেখাতে পারবে না।
এছাড়া পার্লামেন্টে বক্তব্য দেওয়ার সময় কিম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ অঞ্চলে এসে সামরিক মহড়া পরিচালনাসহ নানাভাবে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। এমনকি তিনি যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী দেশগুলোকে জোটবদ্ধ হওয়ার ওপরেও জোর দেন।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই এ বছর রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোর হুঁশিয়ারিকেও কানে তোলেনি তারা।
নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার কিছুদিন আগেই রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। সে সময় দেশ দুটির মধ্যে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। তাদের এমন সহযোগিতামূলক কার্যক্রমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ