পশ্চিমবঙ্গ

ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, স্বাস্থ্য ভবনে বিরোধীনেতারা

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:১৬ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। রাজ্যজুড়েই এই রোগের প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ডেঙ্গু।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এরইমধ্যে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ছুটির দিনেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সচিবালয় নবান্নের স্বাস্থ্যদপ্তরে ডেঙ্গু নিয়ে হয়েছে বৈঠক।

বিজ্ঞাপন

পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক জেলার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় বেশ কিছু গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যেক জেলার প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বলেন, কোথাও পানি জমতে দেওয়া যাবে না। বিশেষত বাজার এলাকায়, বন্ধ কলকারখানার জমা পানি হচ্ছে মশার আঁতুঘর। সেই সব জায়গায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজন হলে ড্রোন ব্যবহার করে বন্ধ কারখানার তালা ভেঙে সেই পানি নিষ্কাশন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভারতীয় জনতা পার্টির ২২ জন বিধায়ককে নিয় হঠাৎ স্বাস্থ্য ভবনে স্মারকলিপি দিতে যান। কিন্তু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন।

এসময় পুলিশের সঙ্গে বিরোধী দলনেতা বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে পুলিশদের ধমকাতেও দেখা যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

স্বাস্থ্য ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশদের উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আপনারা বিধায়কদের এভাবে আটকাতে পারেন না। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় পেছন থেকে স্লোগান ওঠে ‌‘ডেঙ্গুর সরকার আর নেই দরকার’।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, করোনার থেকেও খারাপ হয়েছে রাজ্যের ডেঙ্গুর পরিস্থিতি। ডেঙ্গুর রক্ত পরীক্ষা করার কিট নেই, ১০০-র বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ১০ লাখের বেশি আক্রান্ত ।

বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, রাজ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কত মৃত্যু হয়েছে সেই তথ্য প্রকাশ করছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আমরা এখানে স্মারকলিপি দিতে এসেছিলাম।

স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে দেখাও করতাম। কিন্তু তাও আমাদের আটকানো হচ্ছে। মমতা ব্যানার্জী বিরোধীদের ভয় পেয়েছে বলে এইভাবে তাদের কন্ঠ রোধ করতে চাইছেন।তাই বিজেপিকে স্বাস্থ্য ভবনে ঢুকতে দিচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী স্বাস্থ্য ভবনে সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, ৩ ডিসেম্বর বিধানসভা হওয়ার কথা ততদিনে কয়েক হাজার লোক মারা যাবে। ভয়াবহ অবস্থা, মালদহ, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪পরগনা, নদিয়া এইসব এলাকার ডেঙ্গুর আঁতুড় ঘর হয়ে গেছে। এছাড়াও দক্ষিণ দমদম ও যাদবপুর এইসব এলাকার প্রত্যেক ঘরে ঘরে ডেঙ্গু। শুধুমাত্র ধোয়া দিলেই হবে না। ডেঙ্গুর লার্ভা ধ্বংস করতে হবে। এই কাজটা শুরু করা উচিত ছিল মার্চ-এপ্রিল মাস থেকে কিন্তু সে কাজ করেনি। কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ কোটি টাকা চুরি করেছে মমতা ও তার স্বাস্থ্যদপ্তর।

এ নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে কলকাতা পুলিশ শুভেন্দু অধিকারীসহ ২২ জন বিধায়ককে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে নিয়ে যায়।

ডিডি/এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।