অবশেষে আদিয়ালা কারাগারে নেওয়া হচ্ছে ইমরান খানকে
অবশেষে ইমরান খানকে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় সাজার পাওয়ার পর থেকেই পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে বন্দি রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইপ্রধান। সাজাপ্রাপ্তির পর থেকেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই দাবি করে অ্যাটক কারাগারের পরিবর্তে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরের আবেদন করে আসছিলেন ইমরান খান ও তার দল পিটিআই।
রাওয়ালপিন্ডি শহরের আদিয়ালা রোডের কারগারটি পাকিস্তানের সবচেয়ে সমৃদ্ধ কারাগার। সেখানে ইমরান খানের মতো ভিআইপি কারাবন্দিদের প্রাপ্য সব সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। এ কারণেই আইএইচসি এ রায় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইমরান খানের আইনজীবীদলের সদস্য ব্যারিস্টার সালমান সফদর।
আরও পড়ুন: কারাবন্দি ইমরান খান, নির্বাচনের প্রস্তুতি কমিশনের
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পিটিআই চেয়ারম্যানকে অ্যাটক কারাগার থেকে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আইএইচসি। কারাগারে পিটিআইপ্রধানকে দেওয়া সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত এক শুনানির সময় এ আদেশ দেন আইএইচসির প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে সাইফার বা গোপন তারবার্তার মামলা ইসলামাবাদে দায়ের করা হয়েছে। ফলে বন্দিকে সংশ্লিষ্ট বিচারিক কারাগারে রেখেই বিচারকাজ পরিচালনা করতে হবে। এ যুক্তির ওপর ভিত্তি করেই তাকে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইএইচসির প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক বলেন, ইসলামাবাদে দায়ের করা সাইফার মামলায় বিচারাধীন বন্দি ইমরান খান। তাহলে আদিয়ালা কারাগারের পরিবর্তে তাকে কেন অ্যাটক কারাগারে রাখা হবে?
আরও পড়ুন: সাইফার মামলায় নির্ভর করছে ইমরান খানের ভাগ্য
গত ৫ আগস্ট ইসলামাবাদের জেলা বিচারিক আদালত তোশাখানা মামলায় ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর থেকে অ্যাটক কারাগারেই আছেন ইমরান। গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (এএইচসি) এই সাজা স্থগিত করেন। কিন্তু অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে রিমান্ডে থাকায় তিনি কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না।
অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে ইমরানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) যে অভিযোগ দায়ের করেছে, তাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের পাঠানো একটি গোপনীয় বার্তার বিষয়বস্তু তিনি জনসমক্ষে ফাঁস করে দিয়েছেন। এছাড়া এটিকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ব্যবহার করেছেন।
আরও পড়ুন: এবার হাইকোর্টে জামিন চাইলেন ইমরান খান
সাইফার মামলা একটি কূটনৈতিক বার্তা সম্পর্কিত, যা ইমরানের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে বলে জানা যায়। পিটিআই অভিযোগ করে বলেছে, হারিয়ে যাওয়া এই বার্তাটিতে যুক্তরাষ্ট্র ইমরানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। এই মামলায় পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্র: জিও নিউজ
এসএএইচ