রাশিয়ার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:১৫ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

ক্রিমিয়ার সেভাস্তপোলে অবস্থিত রাশিয়ার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত একজন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে, এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেন।

ঘটনার পরপরই রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, হামলার পর একজন সেনা নিখোঁজ রয়েছেন। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে।

ক্রিমিয়ার বৃহত্তম শহর সেভাস্তপোলের গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র নৌবহরের সদর দপ্তরে আঘাত হেনেছে। ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরাগুলো একটি থিয়েটারের কাছে পড়ে রয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সেখান থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

তাছাড়া শহরের বাসিন্দাদের বাড়ির ভেতরে থাকার জন্য অনুরোধ জানান গভর্নর। পাশাপাশি নৌ সদর দপ্তরের কাছে থাকা মানুষদের সাইরেনের শব্দ শুনলেই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে বলেছেন তিনি।

একাধিক কারণে সেভাস্তপোলের এ নৌ সদর দপ্তর ইউক্রেনের প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। কারণ এখান থেকে পরিচালিত নৌ-জাহাজ থেকেই ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। তাছাড়া শস্যচুক্তি থেকে বের হয়ে আসার পর কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনীয় নৌযান চলাচল করতে না দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ক্রেমলিন। এরপর থেকেই মূলত এ অঞ্চলে ইউক্রেনীয় হামলার প্রবণতা বেড়েছে।

জানা গেছে, এমন আশঙ্কাও রয়েছে যে রাশিয়া সমুদ্র থেকে ইউক্রেনের দক্ষিণ ওডেসা ও মাইকোলাইভ অঞ্চলে আক্রমণ চালাতে কৃষ্ণ সাগরের এ সদর দপ্তরে অবতরণকারী জাহাজ ব্যবহার করতে পারে।

রাশিয়া বারবার ক্রিমিয়ায় নৌবহরের উপস্থিতি ব্যবহার করেছে ইউক্রেনীয় উপদ্বীপে তার দাবির ন্যায্যতা প্রমাণ করতে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি, পশ্চিমাদের দখল থেকে বাঁচাতেই উপদ্বীপটি দখল করা হয়।

সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।