যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া পুনর্গঠনে সাহায্য করবে চীন
কৌশলগত অংশীদারিত্ব গঠনের ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার পুনর্গঠনে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে চীন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) চীনের হ্যাংজু শহরে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মধ্যে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানা যায়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, শি জিনপিং বলেছেন, অস্থিতিশীল ও অনিশ্চিত আন্তর্জাতিক পরিবেশের মুখে, বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা, ন্যায়বিচার রক্ষার স্বার্থে সিরিয়ার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক চীন।
চীনা প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, বেইজিং বিদেশি হস্তক্ষেপ, একতরফা ধমকের বিরুদ্ধে সিরিয়ার বিরোধিতাকে সমর্থন করে। তাছাড়া আমরা যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার পুনর্গঠনেও সাহায্য করবো।
শি জানান, প্রাচীন সিল্ক রোড বরাবর অবকাঠামো গড়ে তোলা ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় চীনের দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে। তাছাড়া চীন আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বৈশ্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখতে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে সিরিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুকভ
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, সঙ্কট ও দুর্ভোগের সময় সিরিয়ানদের পাশে থাকার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।
আল জাজিরা বলছে, আরব নেতার বিরল এ সফর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অধীনে এক দশকেরও বেশি সময় কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটানো ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার ইঙ্গিত দেয়।
২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। আর এ গৃহযুদ্ধে নিহত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ সিরিয়ান।
আল-আসাদের সরকার এখন সিরিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে ও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরব প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার কাজ করে যাচ্ছে, যারা একসময় সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছিল।
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে চীন মধ্যপ্রাচ্যে তার কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছে, কারণ দেশটি বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার করার ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার বিকল্প প্রতিষ্ঠা ও প্রচারের চেষ্টা করছে।
চলতি বছরের মার্চে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার সাত বছরের কূটনৈতিক ফাটলের অবসান ঘটাতে সাহায্য করেছিল বেইজিং। এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে চীনের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ