ভারত-কানাডা দ্বন্দ্বে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ যুক্তরাষ্ট্র
খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকার জড়িত থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেছে কানাডা। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন এখন চরমে। বিষয়টি এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সের মতো ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোকে জানিয়েছে কানাডা।
গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কানাডার হাউজ অব কমন্সের সভায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা।
তিনি বলেন, কানাডার মাটিতে একজন কানাডীয় নাগরিক হত্যায় বিদেশি কোনো সরকারের সংশ্লিষ্টতা আমাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। স্বাধীন, মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা যেভাবে কাজ করে, তার সম্পূর্ণ পরিপন্থি এ ধরনের ঘটনা।
ট্রুডোর এ মন্তব্যের পর কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনার জেরে পবন কুমার নামে একজন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডা।
এর পরপরই পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এক জ্যেষ্ঠ কানাডীয় কূটনৈতিককে বহিষ্কার করে ভারত। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক বিবৃতিতে জানান, কানাডার হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে এবং ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে তাকে ভারত ছাড়তে হবে।
ট্রুডো জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তার সরকার। কানাডীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাকের কাছে জানিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো।
যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারতের বিরুদ্ধে ট্রুডোর তোলা অভিযোগের বিষয়ে তারা ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
হোয়াইট হাউসেজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেন, আমরা কানাডীয় সহযোগীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। কানাডার তদন্ত যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় এবং দোষীরা বিচারের আওতায় আসে, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
যুক্তরাজ্য সরকারের মুখপাত্রও জানিয়েছেন, হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের ‘গুরুতর অভিযোগের’ বিষয়ে কানাডীয় অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছে ব্রিটিশ সরকার।
সূত্র: এপি, বিবিসি
কেএএ/