ভিডিও ভাইরাল

বিমানবন্দরে যাত্রীদের ব্যাগ খুলে টাকা সরাচ্ছেন দুই কর্মী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৬ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

ফ্লাইট অভ্যন্তরীণ হোক বা আন্তর্জাতিক, বিমানবন্দরে লাগেজ চেকিং বাধ্যতামূলক। আরোহীদের সুরক্ষার স্বার্থেই এই কাজটি করেন নিরাপত্তাকর্মীরা। কিন্তু যাত্রীদের সুরক্ষা দেওয়া যাদের কাজ, তারাই যদি নিরাপত্তাহীনতার কারণ হয়ে দাঁড়ান, তাহলে? ঠিক এমনটিই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

সম্প্রতি বমিানবন্দরটির দুজন ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিএসএ) কর্মীকে যাত্রীদের ব্যাগ থেকে নগদ টাকা চুরি করতে দেখা গেছে। এর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরেই শোরগোল পড়ে গেছে চারদিকে।

আরও পড়ুন>> ঘরে কিছু না পেয়ে উল্টো ৫০০ টাকা রেখে গেলো ‘মানবিক’ চোর!

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানা যায়, চুরির ভিডিওটি ধারণা করা হয়েছিল এ বছরেরই ২৯ জুন। অভিযুক্ত দুই কর্মী হলেন ২০ বছর বয়সী জোসু গঞ্জালেস এবং ৩৩ বছরের লাবারিয়াস উইলিয়ামস।

জানা গেছে, যাত্রীদের থেকে বিমানবন্দরের ভেতরেই টাকা-পয়সা এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিস চুরি যাওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্তে নামেন এনফোর্সমেন্ট কর্মকর্তারা। তারপর জুলাই মাসে গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে।

আরও পড়ুন>> চুরি করতে ব্যর্থ হয়ে ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশংসা চোরের

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক্স-রে মেশিনের ভেতর দিয়ে কাছে এসে পৌঁছানো ওয়ালেট এবং পার্স খুলে যাত্রীদের টাকা-পয়সা বের করে নিচ্ছেন দুই নিরাপত্তাকর্মী। একজনকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ওয়ালেট থেকে টাকা বের করে নিজের পকেটে ঢুকিয়ে রাখছেন।

আরও পড়ুন>> ফোন চুরি করেছিল যে, তারই প্রেমে পড়লেন তরুণী

ফক্স নিউজ জানিয়েছে, ভিডিওতে দেখা যাওয়া দুই কর্মী ছাড়াও এলিজাবেথ ফাস্টার নামে আরও এক নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে চুরি এবং প্রতারণার মামলা দায়ের করেছে কর্তৃপক্ষ।

জিজ্ঞাসাবাদে এলিজাবেথ ও জোসু নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছে, এটিই প্রথমবার নয়, দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করছিলেন তারা। একসঙ্গে কাজ করার সময় প্রতিদিন যাত্রীদের ব্যাগ থেকে প্রায় এক হাজার ডলার সরিয়েছেন অভিযুক্তরা।

সুত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট, এনডিটিভি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।