ব্যবসায়ীদের প্রতি ট্রুডোর হুঁশিয়ারি

জিনিসপত্রের দাম কমান, না হলে কর বাড়াবো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪৫ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে বড় মুদি ব্যবসায়ীদের ওপর অতিরিক্ত করারোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার ওন্টারিওতে কানাডার পাঁচটি বৃহত্তম সুপারমার্কেট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ট্রুডো। এতে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালমার্ট, কস্টকোর মতো প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন>> ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় চাল নিয়ে কাড়াকাড়ি

এদিন ব্যবসায়ীদের আসন্ন থ্যাংকগিভিং ডে’র (২৩ নভেম্বর) আগেই দ্রব্যমূল্য বৃ্দ্ধি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পরিকল্পনা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, যদি তাদের পরিকল্পনা মধ্যবিত্তদের জন্য বাস্তবিক উপকারে না আসে, তাহলে আমরা আরও পদক্ষেপ নেবো এবং সেক্ষেত্রে বাড়তি ট্যাক্সের মতো বিষয়গুলো উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

ট্রুডোর এই হুঁশিয়ারির একদিন পরই কানাডার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস-ফিলিপ শ্যাম্পেন বলেন, আগামী সোমবার রাজধানী অটোয়ায় দেশটির বড় মুদি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

আরও পড়ুন>> ভারত-কানাডা সম্পর্কে টানাপোড়েন, বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত

কানাডা সরকারের উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের এ মন্ত্রী বলেন, আমি সাফ বলে দিচ্ছি: কানাডীয় নাগরিকদের খাদ্য খাতে সমাধান দরকার। আমাদের অবশ্যই ভোক্তাদের জন্য খাদ্যের দাম স্থিতিশীল করতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং আমরা তা করবো।

ট্রুডো বৃহস্পতিবার আরও বলেন, যখন বহু মানুষ সাধারণ চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে, তখন সুপারমার্কেটগুলোর রেকর্ড মুনাফা অর্জন স্বাভাবিক নয়।

তিনি বলেন, বড় মুদি প্রতিষ্ঠানগুলো রেকর্ড মুনাফা করছে। পরিবারকে খাওয়ানোর জন্য যারা সংগ্রাম করছে, তাদের পকেট কেটে এই লাভ করা উচিত নয়।

আরও পড়ুন>> খাদ্যপণ্য ক্রেতার নাগালের বাইরে, মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ১২.৫৪ শতাংশ

কানাডায় এক বছর আগের তুলনায় গত জুলাই মাসে মুদি পণ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ, যা দেশটির সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৩ দশমিক ৩ শতাংশের অনেক ওপরে।

ক্রমবর্ধমান এই দামের জন্য ইউক্রেন যুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কারণকে দায়ী করেছেন কানাডীয় খুচরা বিক্রেতারা।

কানাডার রিটেইল কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, ব্যবসায়ীদের দোষ দেওয়ার পরিবর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত আয়নায় নিজেদের মুখ দেখা।

তাদের বক্তব্য, খাদ্যের দাম কমানোর জন্য সরকারই আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে; যেমন- কৃষক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকারী ও পরিবেশকদের ওপর থেকে অস্থায়ীভাবে কার্বন ট্যাক্স অপসারণ করা অথবা সরকারের পরিকল্পিত প্লাস্টিক প্যাকেজিং লক্ষ্যমাত্রা বাতিল করা।

সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।