ব্রাসেলস হামলা : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও মেট্রোরেল স্টেশনে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ১৮৬ জন। মঙ্গলবার সকালের দিকে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাভেন্তাম বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণে ১৪ জন নিহত ও ৮০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া মেট্রো স্টেশনে বিস্ফোরণে ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছে আরো ১০৬ জন।
বেলজিয়ামের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৭টায় জাভেন্তাম বিমানবন্দরে দুটি বিস্ফোরণে ১১ জন নিহত ও ৮১ জন আহত হয়েছে। এর এক ঘণ্টা পরে ম্যালবেক মেট্রো স্টেশনে বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত হয়েছে।
ভয়াবহ এই হামলার পর বেলজিয়ামে সন্ত্রাসী হামলার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। প্যারিস হামলার সন্দেহভাজন সালাহ আবদেসালাম ব্রাসেলস শহর থেকে আটক হওয়ার মাত্র চারদিনের মাথায় এই হামলার ঘটনা ঘটল।
বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেল সর্বশেষ এই হামলাকে অন্ধ, হিংসাত্মক এবং কাপুরুষোচিত বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, এটা একটা কালো দিবস...আমি সবাইকে ধৈর্যশীল ও শান্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন, এই হামলা সন্ত্রাসীদের ঘৃণা ও সহিংসতার আরেকটি জঘন্য নজির।
বিস্ফোরণের পর ব্রাসেলসের বিমান ও সব ধরনের গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ভয়াবহ এই সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেলকে ফোন করেছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার সমর্থন রয়েছে বলে মিশেলের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে হতাহতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন।
বেলজিয়ামের ফেডারেল প্রসিকিউটর রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, জাভেন্তাম বিমানবন্দরে সম্ভবত এক আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের পর সন্দেহভাজন ও নতুন হামলার পরিকল্পনাকারীদের ধরতে ব্রাসেলসের প্রত্যেক বাড়িতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। ছয়শ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন।
এসআইএস/আরআইপি