বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারকালে ৮ মণ ইলিশ উদ্ধার
দেশের বাজারে আকাশছোঁয়া দাম সত্ত্বেও বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হচ্ছিল কয়েক মণ ইলিশ। অভিনব উপায়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ইলিশ পাচারের সময় সম্প্রতি আটক করা হয়েছে এক পাচারকারী। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৩০০ কেজি ইলিশ।
জানা যায়, গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গোয়েন্দা শাখা গোপন সূত্রে খবর পায়, কয়েকজন চোরাকারবারি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ফারজিপড়া সীমান্ত চৌকি এলাকা দিয়ে কিছু পণ্য পাচার করতে চলেছে।
আরও পড়ুন>> পশ্চিমবঙ্গের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মমতাজ
এই তথ্যে সতর্ক হয়ে ওঠেন ফারজিপড়ার দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের বিএসএফের অধীনে অ্যাডহক ৯ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা এবং দুপুর ৩টার দিকে তাদের এলাকায় কিছু সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড চোখে পড়ে।
জওয়ানরা দেখতে পান, এক ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে পাটের বাণ্ডিল নিয়ে মাথাভাঙ্গা নদী পার হয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। তৎক্ষণাৎ ইঞ্জিন বোট নিয়ে সেই ব্যক্তিকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে বিএসএফ।
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশি পর্যটক কমে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় কলকাতার ব্যবসায়ীরা
এরপর পাটের বাণ্ডিল খুলে প্রায় ২৯০ কেজি ইলিশ খুঁজে পায় তারা। সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
আটক পাচারকারীর নাম নিতাই মণ্ডল। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার তালতলী গ্রামের বাসিন্দা।
জিজ্ঞাসাবাদে নিতাই মণ্ডল জানান, সীমান্ত পার করে মাছগুলো তালতলী গ্রামের বাপন মণ্ডলের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। বিনিময়ে টাকা দেওয়া হতো তাকে। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন>> কলকাতায় কতটা বাড়লো ডাবের দাম?
এদিকে, পৃথক এক অভিযানে আরও ৩৫ কেজি ইলিশ উদ্ধার করেছেন বিএসএফের ফারজিপাড়া অ্যাডহক ৯ কোরের জওয়ানরা।
ভারতীয় বাজারে এসব ইলিশের আনুমানিক মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ রুপি।
পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জব্দ ইলিশসহ অভিযুক্ত চোরাকারবারিকে শুল্ক বিভাগ জলঙ্গিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ডিআইজি এ কে আর্য বলেছেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা আন্তর্জাতিক সীমান্তে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। চোরাকারবারিরা নিত্যনতুন উপায়ে পাচারের চেষ্টা করে। কিন্তু বিএসএফের জওয়ানরা তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে প্রস্তুত।
ডিডি/কেএএ