যুক্তরাষ্ট্রে মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ১২ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৫৮ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে ভয়ঙ্কর এক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ অ্যান্ড প্রিভেনশন। এতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিকিৎসকদেরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরল ওই ব্যাকটেরিয়ার নাম ভিব্রিও ভালনিফিকাস। এটিকে মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়া বলছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলের উষ্ণ ও লোনা পানিতে এটির অস্তিত্ব মিলেছে। এমনকি, উপকূল থেকে আহরিত সামুদ্রিক খাবারেও এ ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সাধারণত পানিতে গোসল করতে নামলে এর সংক্রমণ ঘটে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শরীরে ক্ষত থাকা কোনো ব্যক্তি পানিতে নামলে থাকলে, খুব সহজেই এ ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের শিকার হতে পারেন। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার তথ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর অন্তত ৮০ হাজার মানুষ এই ভিব্রিও ভালনিফিকাস ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হন ও তাদের মধ্যে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়। চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে এ ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এরই মধ্যে এক ডজন মানুষ মারা গেছে।

এ ব্যাকটেরিয়া ‍মূলত ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি করে। সেই ক্ষত ফুলে গিয়ে ফুসকুড়ি ধরনের কিছু হয়, যা থেকে পরে আলসার হতে পারে। এতে আক্রান্ত হলে প্রচণ্ড জ্বর আসে। তাছাড়া ডায়ারিয়া, পেটব্যথা ও বমিও হয়।

গবেষণা বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ায় ভিব্রিও ভালনিকাস ব্যকটেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটির হার্বার ব্রাঞ্চ ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউটের গবেষক গ্যাবি বারবারিতর একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সাগরের পানি যত গরম হয়, এ ব্যাকটেরিয়া তত দ্রুত বিস্তার লাভ করে।

জার্নাল ন্যাচার পোর্টফোলিও’র এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, ১৯৮৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩০ বছরে ভিব্রিও ভালনিফিকাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ আট গুণ বেড়েছে।

সূত্র: ইউএসএ টুডে

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।