নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রীষ্মকাল পার করলো হংকং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৯ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ফাইল ছবি

বৈশ্বিক উষ্ণতার শিকার এবার হংকং। এ বছর একাধিকার রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রার মধ্যে দিয়ে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রীষ্মকাল পার করলো চীনের আধা-স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলটি।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এ বছর বিভিন্ন দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নতুন রেকর্ড গড়েছে। গত সপ্তাহেই রেকর্ডভাঙা দাবদাহের ঘোষণা দিয়েছে ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো।

আরও পড়ুন>> সবচেয়ে বেশি গরমের মুখে দক্ষিণ এশিয়ার শিশুরা: জাতিসংঘ

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) হংকংয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর জুন-জুলাইয়ের তীব্র গরমের সঙ্গে হংকং জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ গ্রীষ্মকাল পার করেছে।

হংকং অবজারভেটরির তথ্যমতে, শহরটি গত মাসে ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৮৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) মাসিক গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে, যা তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম আগস্ট।

আরও পড়ুন>> পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ দিনের নতুন রেকর্ড

১৮৮৪ সালে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে হংকংয়ে তৃতীয়-উষ্ণতম জুলাই এবং চতুর্থ-উষ্ণতম জুন মাসও ছিল এ বছর।

আগস্ট মাস ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি শুষ্ক। এসময় মোট ১৪০ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

হংকংয়ের ইতিহাসে শীর্ষ তিনটি উষ্ণতম বছরই ২০১৮ সালের পরে রেকর্ড করা হয়েছে।

আরও পড়ুন>> ২০৫০ সালের মধ্যে অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে ঘরের বাইরে কাজ করা

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের আবহাওয়া পরিস্থিতি ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ঝড়ের তীব্রতা। বৃদ্ধি পাচ্ছে অতিবৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যা।

কয়েকদিন আগেই সুপার টাইফুন সাওলার আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হংকংয়ে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতার সঙ্গে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সম্পর্ক রয়েছে। তাপপ্রবাহের সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনেও এর প্রভাব রয়েছে।

আরও পড়ুন>> চীনে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা পৌঁছালো ৫২ ডিগ্রিতে

এ বছর গ্রীষ্মের শুরুর দিকে জুনের একদিন সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছিল বেইজিং।

সূত্র: এনডিটিভি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।