যুদ্ধে ইউক্রেনের ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্র
দক্ষিণ ইউক্রেনে রাশিয়ার গড়ে তোলা দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষার বিরুদ্ধে কিয়েভ বাহিনী যে লড়াই চালাচ্ছে তাতে তারা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের।
হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, জাপোরিঝার দক্ষিণে গত ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধে এসব অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, কিয়েভের বাহিনী সামনে এগোচ্ছে কিন্তু এর জন্য কঠিন লড়াই করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন>‘ইন্টারনেট আসক্তি’ কমাতে নতুন গাইডলাইন চীনের
অন্যদিকে রাশিয়া দাবি করছে যে তারা উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের কুপিয়ানস্ক শহরের কাছে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি মালভূমি দখল করেছে।
কিরবি বলেন, কিয়েভ নিজেই স্বীকার করেছে দক্ষিণ দিকে তারা যে অভিযান চালাচ্ছে তা তাদের প্রত্যাশার চাইতে ধীরগতিতে এগোচ্ছে। এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল ক্রাইমিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে থাকা স্থল-করিডোরটিকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা।
মার্কিন মুখপাত্র বলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষার দ্বিতীয় স্তরটির বিরুদ্ধে ইউক্রেন কিছু সাফল্য পেয়েছে।
এর আগের সপ্তাহে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছিল তারা জাপোরিঝা অঞ্চলের রবোটাইন গ্রামটি পুনর্দখল করেছে।
অন্যদিকে উত্তর-পূর্বে খারকিভের পূর্ব দিকে ইউক্রেন যেসব এলাকা মুক্ত করেছিল সেগুলো আবার দখল করার জন্য রাশিয়া সৈন্য সমাবেশ করছে।
এছাড়া ইউক্রেনের দক্ষিণে রাশিয়া বহুসংখ্যক সুড়ঙ্গ ও পরিখার এক জাল তৈরি করেছে এবং সংলগ্ন এলাকায় মাইন পেতে সেগুলোকে সুরক্ষিত করেছে।
এ ছাড়াও সেখানে কামান বসানো হয়েছে এবং কংক্রিটের ট্যাংক-প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ড্রাগনের দাঁত।
আরও পড়ুন>পাকিস্তানে জ্বালানির মূল্য বাড়ায় ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট
ইউক্রেন তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো থেকে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া ও সেনা ব্যাটালিয়ন গড়ে তোলার পর রুশ বাহিনী বিরুদ্ধে এক পাল্টা অভিযান শুরু করেছিল।
কিন্তু এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি খুবই ধীর গতিতে হচ্ছে এবং কিয়েভ এখন ন্যাটো দেশগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছে যেন তাদের ট্যাংক, মাইন পরিষ্কারের যন্ত্রপাতি ও এফ-সিক্সটিনের মত যুদ্ধ বিমান সরবরাহ করা হয়।
ইউক্রেনের এই পাল্টা অভিযানের ধীরগতি নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন বৃহস্পতিবার তাদের ব্যাপারে বিরক্তি প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা।
স্পেনে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক সভায় তিনি বলেন, আমি এই সমালোচকদের বলবো মুখ বন্ধ রাখুন ও ইউক্রেনে এসে নিজেরা এক বর্গ সেন্টিমিটার এলাকা মুক্ত করার চেষ্টা করে দেখুন।
এমএসএম