অরুণাচলকে নিজেদের দাবি চীনের, ভারতের প্রতিবাদ
অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চীনের ভূখণ্ড নিজেদের ম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করেছে চীন। সোমবার চীন তাদের ওই নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে। তারপরেই তীব্র প্রতিবাদে সরব হয়েছে ভারত। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণায় জানিয়েছে, চীনের এই ধরনের পদক্ষেপের কারণেই সীমানা নিয়ে জটিলতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
সোমবার তাদের মানচিত্রের নতুন সংস্করণ প্রকাশ করে চীন। তাতে অরুণাচল প্রদেশ, আকসাই চীন অঞ্চল, তাইওয়ান ও বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগর তাদের দেশের সীমানার অধীনে দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন>অরুণাচলকে ফের নিজেদের দাবি করলো চীন
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের কাছে এই বিষয়ে মুখ খোলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তিনি বলেন, আমরা আজ কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে চীনের ২০২৩ সালের মানচিত্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। এতে তারা নিজেদের অধীনে ভারতের ভূখণ্ডকে দেখিয়েছে। আমরা এগুলো প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ এর কোনো ভিত্তিই নেই। চীনের এই ধরনের পদক্ষেপের কারণে সীমানা সমস্যা ক্রমেই আরও জটিল হয়ে উঠছে।
এই অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী সীমান্ত বিবাদেও বরাবর নিজেদের এলাকার বিষয়ে অটল থেকেছে ভারত। দেশটির সরকার সবসময়ই জানিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে।
চীনের রাষ্ট্র-চালিত মিডিয়া আউটলেট গ্লোবাল টাইমস সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় চীনের মানচিত্রের নতুন সংস্করণ প্রকাশ করে। গ্লোবাল টাইমস টুইটারে একটি পোস্টে জানিয়েছে, চীনের স্ট্যান্ডার্ড মানচিত্রের ২০২৩ সংস্করণটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>রিলায়েন্সের পরিচালনা পর্ষদে মুকেশ আম্বানির তিন সন্তান
এই মানচিত্রটি চীন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাতীয় সীমানা অঙ্কন পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে বলেও পোস্টে দাবি করা হয়।
মানচিত্রতে তাইওয়ান দ্বীপ ও দক্ষিণ চীন সাগরের একটি বড় অংশকে চীনা ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও তাইওয়ান দক্ষিণ চীন সাগর এলাকার মালিকানা দাবি করছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমএসএম