রিলায়েন্সের পরিচালনা পর্ষদে মুকেশ আম্বানির তিন সন্তান
এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি বাবা হিসেবেও যথেষ্ট সফলই বলা চলে। সন্তানদেরকে ভারতের বৃহত্তম কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের ভবিষ্যত উত্তারিধারী হিসেবে নিশ্চিত করতে সোমবার বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন দেশটির অন্যতম এই ব্যবসায়ী। মুকেশ আম্বানির তিন সন্তান- ইশা আম্বানি, আকাশ আম্বানি ও অনন্ত আম্বানিকে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালনা পর্ষদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
৬৬ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ী তার তিন সন্তানকে রিলায়েন্সের পরিচালনা পর্ষদের নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছর তিনি তার সন্তানদের নিজ নিজ পদে দায়িত্ব গ্রহণের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: ছেলের পর মেয়েকেও কোম্পানির বড় দায়িত্ব দিচ্ছেন মুকেশ আম্বানি
মূলত মুকেশ আম্বানি তার বিশাল সম্পদের দেখভালের দায়িত্ব তার সন্তানদের ওপরই দিতে চাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে গত বছরের আগস্টে রিলায়েন্স গ্রুপের সাধারণ সভায় তিন সন্তানের নির্দিষ্ট ভূমিকার বিষয়টি স্পষ্ট করেন তিনি।
ভারতের করপোরেট ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এটি একটি প্রত্যাশিত ঘটনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাবার সম্পদের উত্তরাধিকার সন্তানরাই হয়। রিলায়েন্স ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। আর সম্পদের উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে মুকেশ আম্বানি অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা এড়াতে আগেভাগেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।
২০ বছর আগে মুকেশ আম্বানির বাবা তার মৃত্যুর আগে নিজের সম্পদের কোনো উইল করে যাননি। সে কারণে বাবার সম্পদ ভাগ বাটোয়ারা করতে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধ শুরু হয় মুকেশ আম্বানির। এই ঘটনার কারণেই হয়তো মুকেশ আম্বানি চান না যে, তার সম্পদ নিয়েও সন্তানদের মধ্যে পরবর্তীতে কোনো বিবাদ শুরু হোক। তাই তিনি বেঁচে থাকতেই ব্যবসায়ে সন্তানদের অবস্থান নির্দিষ্ট করে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানির সম্পদের উত্তরাধিকার কারা?
তিন বছর আগেই পারিবারিক ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদে সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করতে শুরু করেন মুকেশ আম্বানি। সে কারণে ইতোমধ্যেই রিলায়েন্সের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার তিন সন্তানের আনুষ্ঠানিক ভূমিকাও তৈরি হয়ে গেছে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, তার প্রত্যেক সন্তান রিলায়েন্সে সরাসরি ২৩৬ মিলিয়ন ডলারের অংশীদার। আম্বানির সন্তানরা তাদের বাবার সফলতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে কি না সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
টিটিএন